• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নৌপুলিশকে চাঁদা দিলে সব অনিয়মই হালাল হয়ে যায় ! (ভিডিও)

নাজিব ফরায়েজীর

  ২০ জুন ২০১৭, ১২:৪১

নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কেবল চাঁদার বিনিময়ে রাতের বেলা বালুবাহী নৌযান বলগেটকে চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে খোদ নৌপুলিশ। অথচ এসব নৌযানের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

গেল ১২ জুন রাত ১১টার দিকে সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে শতাধিক যাত্রীবোঝাই ট্রলারকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে পালিয়ে যায় বালুবাহী বলগেট। অথচ রাতের বেলা এসব বলগেট চলাচল নিষিদ্ধ।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পরদিন রাতে বুড়িগঙ্গা নদীতে যায় আরটিভি’র সংবাদ দল। দেখা মেলে শ’ শ’ বালুবাহী বালগেটের। অথচ এ সময় সদরঘাট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছিলো। প্রায় পুরো অংশ পানির নিচে ডুবে থাকায় অন্ধকারে বলগেটগুলোকে ১০ হাত দূর থেকেও ঠিকমতো দেখা যায় না। আবার বেশিরভাগ বলগেটের চালকই অদক্ষ। নেই ফিটনেসও।

তবে চলন্ত একটি বলগেটে উঠে চালকের কাছ থেকে জানা গেলো আসল তথ্য। জানালেন, নৌ-পুলিশকে চাঁদা দিলে সব অনিয়মই হালাল হয়ে যায়!

আর এসব অভিযোগের সত্যতা মিললো, পোস্তগোলা ব্রিজের নিচে বুড়িগঙ্গা নদীতে। দূর থেকে অস্পষ্ট দেখা গেলেও কাছে গেলেই সব পরিষ্কার হয়। বলগেটের কাছে নৌপুলিশের বোট ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদা দিতে হয়। এরপর সেটি পেছনের বলগেটে ভিড়ে। এভাবে সব বালুবাহী নৌযান থেকেই চাঁদা নেন তারা।

তবে আরটিভি’র ক্যামেরা দেখেই সটকে পড়েন নৌপুলিশের দুই সদস্য।

বিষয়টি জানতে চাইলে নৌপুলিশের উপ মহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানালেন, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আর বিআইডব্লিউটিএ বলছে, বালুবাহী বলগেটের ওপর তাদের কোন কর্তৃত্ব নেই।

এদিকে সব দায়িত্ব নিয়ে থাকা নৌ পরিবহন অধিদপ্তরও দায় চাপালো অন্যের ওপর। আর আইন অমান্যকারী বলগেটগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না নৌপরিবহন অধিদপ্তর।

রাতে নিষিদ্ধ একটি নৌযানের কারণে দিনের পর দিন অসংখ্য মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও নির্বিকার যেন রাষ্ট্রযন্ত্র!

আরকে/এএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh