• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈদের দিন জঙ্গি হামলা

মাজহার খন্দকার

  ১০ জুলাই ২০১৬, ১০:২২

‘আমরা পরপারে যাচ্ছি, পুলিশের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে’—১ জুলাই ধর্মের নামে দেশি-বিদেশিদের হত্যার পরে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর দেয়ালে ইংরেজিতে এ বাক্য লিখে রেখেছিল আক্রমণকারী জঙ্গিরা। ওই হত্যাযজ্ঞ স্তম্ভিত করেছিল দেশবাসীকে। এর ছয় দিনের মাথায় আরেকটি ভয়ংকর হামলা হলো কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়ায়, দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের কাছে। যেখানে প্রতিবছর ঈদের নামাজ পড়তে জড়ো হন লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।

মুসলমানের প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল ফিতরের দিনে হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিরা জানান দিল, কেবল বিদেশি বা ভিন্নমতাবলম্বীরাই নন, যে কেউ তাদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। শোলাকিয়ার এই হামলায় দুই পুলিশসহ চারজন নিহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে একজন হামলাকারী জঙ্গিও রয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জন।

গুলশানে হামলার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট) দায় স্বীকার করলেও শোলাকিয়া হামলার ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। গুলশানে জিম্মি সংকট চলাকালেই আইএসের কথিত বার্তা সংস্থা আমাক নিউজ কিছুক্ষণ পরপর সবার আগে রেস্তোরাঁর ভেতরে কী চলছে, তার তথ্য প্রচার এবং উদ্ধার অভিযান শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা আগেই জঙ্গিদের হাতে খুন হওয়া দেশি-বিদেশিদের রক্তাক্ত ছবি প্রকাশ করে। অবশ্য বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক আইএসের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, গুলশানে রেস্তোরাঁয় হামলাকারী গোষ্ঠীই শোলাকিয়ায় হামলা চালিয়েছে। দুটি হামলাই করেছে দেশি জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবি (জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ)।

আইজি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএস তো যুক্তরাষ্ট্রের নৈশক্লাবে ৫০ জন নিহত হওয়ারও দায় স্বীকার করেছে। সারা বিশ্বে যেখানেই হামলা হয়, আইএস সেটারই দায় স্বীকার করে। আইএস কেন সবকিছুর দায় স্বীকার করে, কার মাধ্যমে করে, তার লিংক (যোগসূত্র) আমরা এখনো খুঁজে পাইনি।’

.ঈদের দিন (গত বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে নয়টার দিকে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আধা কিলোমিটারের মধ্যেই একদল পুলিশের ওপর জঙ্গিরা হামলে পড়ে। তারা বোমা হামলা করে ও কুপিয়ে দুই পুলিশকে হত্যা করে। এরপর প্রায় চার ঘণ্টা পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে জঙ্গিদের থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। এতে এক জঙ্গি নিহত হয়। দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় ঝর্না রানী ভৌমিক নামে স্থানীয় এক নারী নিজের ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। গুলি-বোমায় আহত হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি পিস্তল, একটি হাতে তৈরি গ্রেনেড (ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস—আইইডি) ও চারটি ধারালো অস্ত্র।

দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের কাছে এ হামলা ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিস্মিত করেছে। যদিও জঙ্গিরা ঈদের জামাতে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল, না পুলিশই তাদের লক্ষ্য ছিল, এখনো তা স্পষ্ট হয়নি। যখন এ হামলা শুরু হয় তখন কেবল ঈদগাহ মাঠে বক্তব্য (বয়ান) শুরু হয়েছে। শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রধান ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ হেলিকপ্টারে কিশোরগঞ্জে গেলেও হামলার খবর জেনে তিনি জামাতে উপস্থিত হননি। নামাজ পড়িয়েছেন দ্বিতীয় ইমাম শোয়াইব আবদুর রউফ। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, লক্ষাধিক মুসল্লির এই ঈদের জামাতের মধ্যে হামলা হলে কিংবা হামলার খবর ছড়ালে পদদলিত হয়েও বহু মানুষ হতাহত হতে পারতেন।

সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র বলেছে, গুলশান হামলার পরে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ঈদের সময় শিয়া মসজিদ, আহমদিয়া মসজিদ এবং এক লাখ আলেমের সই-সংবলিত ফতোয়া জারির উদ্যোক্তা মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদের ওপর হামলা হতে পারে। সেভাবে সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল।

এ বছর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় ১৮৯তম ঈদের জামাত। এ জামাতের প্রায় দুই শ বছরের ইতিহাসে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। প্রতিবছর শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজ পড়তে লক্ষাধিক মানুষ এই ছোট শহরে জড়ো হন। জনশ্রুতি আছে, সোয়া লাখ মানুষের জমায়েতের কারণে এর নাম হয়েছে শোলাকিয়া। আশপাশের জেলাগুলো এবং ঢাকাসহ দূরদূরান্ত থেকেও মুসল্লিরা এখানে আসেন। শোলাকিয়ার মাঠকে কেন্দ্র করে শহরের রাস্তা, অলিগলিতেও মানুষ নামাজ পড়তে বসে যান। দূর থেকে আসা মুসল্লিদের গাড়ির সারি কয়েক কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। শোলাকিয়ায় জামাত ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ভোর থেকেই শহরের ভেতরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এবার আগে থেকেই নির্দেশনা ছিল, জায়নামাজ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে ঈদের জামাতে আসা যাবে না। মানুষ সেভাবেই সেজেগুজে ঈদগাহ মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই জনস্রোতের মধ্যেই জঙ্গিরা হামলা চালায়।

শোলাকিয়া মাঠের ১০টি প্রবেশপথের সব কটিতেই প্রচুর পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন ছিলেন। ঈদগাহ থেকে আধা কিলোমিটারের কম দূরত্বে সবুজবাগ মহল্লার মুফতি মোহাম্মদ আলী মসজিদের কোনায় দায়িত্বে ছিল উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন পুলিশের একটি দল।

এসআই আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, সকাল পৌনে নয়টার দিকে দুই তরুণ সেখানে এলে সন্দেহ হয়। তল্লাশি করতে চাইলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই তরুণ চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি পুলিশকে কোপাতে থাকেন। এ সময় তাঁরা একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। হকচকিত পুলিশ সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। তখন তিনিও দূরে সরে গিয়ে বেতারে (ওয়্যারলেসে) সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, খবর পেয়ে আশপাশে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে জঙ্গিরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায়। বেলা একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ ও র্যাব।

জঙ্গিদের বোমা ও চাপাতির আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই সদস্য জহিরুল হক ও মো. আনসারুল্লাহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পুলিশ সদস্য জহিরুল আক্রমণের মুখে দৌড়ে পাশের মসজিদের শৌচাগারে গিয়ে ঢুকে পড়েন। দুই জঙ্গি সেখানে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে জহিরুলকে।

এ সময় মসজিদে শুয়ে ছিলেন স্থানীয় যুবক মনির হোসেন। তিনি বলেন, হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে উঠে বাইরে তাকিয়ে দেখেন, দুই যুবক চাপাতি নিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে মাটিতে ফেলে কোপাচ্ছেন। প্রত্যেকের হাতে ছিল একটি করে চাপাতি ও পিস্তল। মাটিতে পড়ে আছে কিছু (পুলিশের) অস্ত্র। পরে জঙ্গিরা সেই অস্ত্রগুলো তুলে মসজিদের শৌচাগারের টিনের চালে ছুড়ে ফেলে।

ঘটনাস্থলের অদূরে ছিলেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোরশেদ জামান। তিনি ওয়াকিটকিতে পুলিশ সদস্যদের চিৎকার শুনছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওরা বলছিল, আমরা আক্রমণের শিকার হয়েছি, তাড়াতাড়ি আসো। কিন্তু কোথায় আক্রমণের শিকার হয়েছে, তা বলতে পারছিল না। পরে জানা যায়, আজিমউদ্দীন স্কুলের সামনের এলাকায় ঘটনা ঘটেছে। তখন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন ঘটনা বুঝে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সেদিকে ছুটে যান।’

ওসি মীর মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনজন কনস্টেবলসহ তিনি স্কুলের সামনেই অবস্থান করছিলেন। বোমার শব্দ শুনে এবং বেতারে বার্তা পেয়ে তিনি সেদিকে গিয়ে দেখেন, পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা দুই তরুণ এক হাতে পিস্তল, আরেক হাতে চাপাতি নিয়ে ছোটাছুটি করছে। তিনি সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গুলি শুরু করেন। জঙ্গিরাও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে জঙ্গিরা সবুজবাগ মহল্লার একটি গলিতে ঢুকে গুলি-বোমা ছুড়তে থাকে।

পুলিশ জানায়, গোলাগুলির একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নীল পাঞ্জাবি পরা এক জঙ্গি পড়ে যায়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তাঁর নাম আবির রহমান। তিনি ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। গত মার্চ মাস থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে তাঁর বাবা সিরাজুল ইসলাম ঈদের আগের দিন রাজধানীর ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

কিশোরগঞ্জ সদর থানার পুলিশ জানায়, আবিরের লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করা পিস্তলটি ‘চেম্বার জ্যাম’ অবস্থায় ছিল। দুটি গুলি একত্রে চেম্বারে ঢুকে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র অচল হয়ে পড়ে। তাঁর পরনে নীল রঙের ঢোলা পায়জামার নিচে হাঁটু পর্যন্ত চাপা জিনসের প্যান্ট ছিল। ওই প্যান্টের ডান পাশের কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত কাপড় জোড়া দিয়ে লম্বা একটি বিশেষ পকেট তৈরি করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, লম্বা চাপাতি বা অস্ত্র বহনের জন্য ওই পকেটটি করা হয়।

আরেক জঙ্গি দুই বাসার মাঝে সরু গলিতে ঢুকে গুলি-বোমা ছুড়ছিল। একপর্যায়ে সে পিছু হটে আরেকটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার নাম শফিউল ইসলাম, বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে।

সদর থানার ওসি মীর মোশাররফ হোসেনসহ ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শফিউল ও নিহত আবিরকেই হামলা করতে দেখা গেছে। পরে ওই এলাকা থেকে সন্দেহবশত একজনকে আটক করা হয়। তার নাম জাহিদুল হক, বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরে। অবশ্য পরিবারের সদস্যরা বলছেন, জাহিদুল মানসিকভাবে অসুস্থ। দীর্ঘদিন তাকে বাড়িতে শিকল বেঁধে রাখা হয়েছিল। ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ওই দিন ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্থানীয় আরও কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

জঙ্গিরা যে বাড়ির পাশের গলি থেকে গুলি-বোমা ছুড়েছিল, সেই বাড়ির এক বাসিন্দা পারুল আক্তার বলেন, ‘হঠাৎই গোলাগুলি শুরু হয়। ভয় পাচ্ছিলাম দেয়াল ফুটো হয়ে যায় কি না। প্রাণ বাঁচাতে আমরা সবাই মেঝেতে শুয়ে পড়েছিলাম। পুলিশের পাঁচজন সদস্যও বাড়িতে ঢুকে পড়ে আমাদের সঙ্গে মেঝেতে শুয়ে থাকেন।’

বৃহস্পতিবার ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও দোকানের বাইরের দেয়াল, বারান্দা এমনকি বাসার ভেতরের ঘরেও গুলির চিহ্ন দেখা যায়। বারান্দার দেয়ালের বাইরের দিক থেকে গুলি লেগে কয়েকটি বাড়ির ভেতরের ড্রয়িংরুমের দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়েছে। গুলি লেগেছে সামনের গাছগুলোতেও।

গোলাগুলির সময় ঘরের ভেতরেই গুলি লেগে নিহত হন পাশের ভৌমিক বাড়ির গৃহকর্ত্রী ঝর্না রানী ভৌমিক। তাঁর দেবর উপেন্দ্রনাথ ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোলাগুলির পরে আমরা সবাই মেঝেতে শুইয়া পড়ি। ঝর্না গেল পাশের ঘরে লুঙ্গি আনতে। যাইতে না-যাইতেই মাথায় গুলিডা লাগল। হেইখানেই শ্যাষ।’

ঈদের নামাজ চলছিল: ঘটনার অদূরেই লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের আনুষ্ঠানিকতা তখন ঠিকঠাকভাবেই চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গোলাগুলি শুরু হওয়ার পরেই ঈদগাহমুখী জনস্রোতের মধ্যে একদল পুলিশ ও র্যাব সদস্য মানুষকে অভয় দিয়ে বলতে থাকেন, ‘কিচ্ছু না, আপনারা মাঠে যান। সেখানে সব ঠিক আছে। নামাজ হবে।’ শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই নামাজ শেষ হয়।

একজন মুসল্লি হাফিজ আক্তার বলেন, তিনি নয়টার মধ্যেই মাঠে যান। মাঠ থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। তবে ইমাম সাহেব বক্তব্য থামাননি। ঈদের নামাজ সময়মতো শুরু ও শেষ হয়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh