• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সিটিং-গেটলকের নামে চলছে হরিলুট

জাহিদ রহমান

  ০৮ এপ্রিল ২০১৭, ১১:৪৪

রাজধানীতে গণপরিবহনে চলছে বিশৃঙ্খলা ও হরিলুট। সিটিং বা গেইটলকের নামে চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য। যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার যেন সাধারণ ব্যাপার।

প্রায় ২ কোটি বাসিন্দার শহর ঢাকা। সেখানে প্রতিদিন নানা কারণে যাদের বাইরে বেরুতে হয় তাদের বেশিরভাগরই ভরসা গণপরিবহন। অথচ এই বাহনে উঠে গন্তব্যে পৌঁছানো যেন দুর্ভোগেরই আরেক নাম।

প্রতিদিন এতে উঠে যারা কর্মস্থলে যান তাদের অভিজ্ঞতা তো আরো তিক্ত। রাজপথে চলা, নানা নাম, রং ও প্রতিশ্রুতি খচিত এসব বাহনের কোনটারই কথার ঠিক নেই। ‘সিটিং সার্ভিস’, ‘স্পেশাল’, ‘গেইট লক’, ‘সময় নিয়ন্ত্রণ’, ‘কম স্টপেজ’ এসবই যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একেকটি ফাঁদ। বছরের পর বছর ধরে গণপরিবহণের এমন স্বেচ্ছাচারিতার সামনে অসহায় যাত্রীরা।

সবশেষ ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর সরকারের বেধে দেয়া ভাড়া ছোট বাসে প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৬০ পয়সা, বড় বাসে টাকা ৭০ পয়সা। আর সর্বনিম্ন ভাড়া যথাক্রমে ৫ টাকা ও ৭ টাকা।

তবে বাস্তবে এই নিয়ম কেবল সর্বনিম্ন ভাড়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর সঠিক ব্যবহার তাদের খেয়াল-খুশির উপরই নির্ভর করে। তবে এসবের তোয়াক্কা না করে বাসগুলো নিজেদের সাজানো নির্ধারিত দূরত্বের ভাড়া গুণতে বাধ্য করে সাধারণ যাত্রীদের।

এজন্য দুর্ব্যবহার থেকে শুরু করে, চলন্ত বাস থেকে যাত্রী ফেলে দিয়ে খুন করতেও বাঁধে না। প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বাস রাজধানীতে চললেও সিটিং সার্ভিসের কারণে প্রতিদিন রাস্তায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় হাজার হাজার যাত্রীকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত মুনাফার মানসিকতা থেকেই এমনটি হচ্ছে।

এদিকে পরিবহন মালিক সমিতি এমন অনিয়মের কথা স্বীকার করে সেসব বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

তবে নতুন দায়িত্ব নেয়া বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান জানালেন, অনিয়ম বন্ধে কাজ করছেন তারা।

এখন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকরী উদ্যোগ নেবে।

আরকে/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh