‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’ পাচ্ছেন রুনা লায়লা

এবার ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’ পাচ্ছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা। আগামী ৩০ জুলাই রুনা লায়লার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হবে।

রুনা লায়লা বলেন, ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’র জন্য আমাকে মনোনীত করা হয়েছে। এই আয়োজনের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। উপমহাদেশে ফিরোজা বেগম বরেণ্য একজন সঙ্গীতব্যক্তিত্ব। তার গান আমি অনেক পছন্দ করি। তার মতো গুণী মানুষের নামে সম্মাননা দেয়াতে আমার নিজেরও ভালো লাগছে।

নজরুলসঙ্গীত সম্রাজ্ঞী ফিরোজা বেগমের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার নামে সঙ্গীত পদক প্রবর্তন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে ২০১৬ সালে সাবিনা ইয়াসমিন এবং ২০১৭ সালে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।

এক নজরে ফিরোজা বেগম

১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই ফরিদপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ফিরোজা বেগম। বাবা খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের প্রথম মুসলমান সরকারি কৌঁসুলি। মায়ের নাম বেগম কওকাবুন্নেসা। উপমহাদেশীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা ছিলেন ফিরোজা বেগম। সঙ্গীতের সব শাখায়ই ছিল তার পদচারণা। তবে নজরুলসঙ্গীতে নিজেকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

ফিরোজা বেগম ১৯৪২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কলকাতায় নিয়মিত গান করেছেন। ১৯৪২-এর ডিসেম্বরে এইচএমভি থেকে তার প্রথম রেকর্ড বের হয়। এরপর একের পর এক রেকর্ড বের হতে থাকে। আধুনিক গান, রবীন্দ্রসঙ্গীত, গজল, ভজন সব গানই তখন করেছেন। ১৯৫১ সালে কলকাতায় কমল দাশগুপ্তের সুরে বেশকিছু গান করেন।

১৯৫৬ সালে কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার দুই ছেলে হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদ দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ফিরোজা বেগম বিভিন্ন সময়ে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ টিভি শিল্পী পুরস্কার (পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ), নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, স্যার সলিমুল্লাহ স্বর্ণপদক, দীননাথ সেন স্বর্ণপদক, সত্যজিৎ রায় স্বর্ণপদকসহ আরও অনেক পুরস্কার। ২০১২ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ নজরুল সম্মাননা পান ফিরোজা বেগম। নজরুল সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগম ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

এম/জেবি