• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে না’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:৩৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া অর্থ ফেরত পাবার স্বার্থে আপাতত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না। জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

বুধবার সচিবালয়ে ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশের দিন ছিল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আইনমন্ত্রী এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। এছাড়া টাকা তো ফেরত আসছেই। ফিলিপাইনের আদালত আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। তাই অ্যাটর্নি জেনারেল এখনই প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন। আমরাও তা প্রকাশ করছি না।

তিনি বলেন, পাইপলাইনে আরো ৮০ মিলিয়ন ডলার আছে। আমরা তা ফেরত পাব। তাছাড়া যে টাকা সেদেশের ক্যাসিনোতো গেছে তাও আমরা ফেরত আনার চেষ্টা করছি।

মুহিত বলেন, আমাদের তরফ থেকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তিনি জানান, বাংলাদেশের পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে বাংলাদেশে আসবেন না।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্ক ফেড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। এর মধ্যে দু’কোটি ডলার শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুরুতেই আটকে দেয় এবং পরে তা ফেরত দিয়েছে। বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখার কয়েকটি হিসাব থেকে চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে। ফিলিপাইনের বিভিন্ন সংস্থা চুরি অর্থের সামান্য অংশ নানাভাবে উদ্ধার করে।

উদ্ধার সেই অর্থের মধ্য থেকে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফেরত পেতে ফিলিপাইনের আদালতে বাংলাদেশের একটি আবেদন বিচারাধীন ছিল। বাংলাদেশের হয়ে আবেদনটি করে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) ও ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস।

এ ঘটনায় গেল ১৫ মার্চ সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস।

বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী, গেল ২০ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। এরপর ৩০ মে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়া হয়। পরে তা ‘পড়ে দেখে’ প্রকাশ করার কথা জানান অর্থমন্ত্রী। এরপর ওই প্রতিবেদন প্রকাশে বেশ কয়েক দফা সময় দিলেও তিনি তা প্রকাশ করতে পারেননি।

ডিএইচ/

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh