• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পেঁয়াজের বাজারে আগুন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:২৩

বাজারে কাঁচা মরিচের ঝাঁজের অভিজ্ঞতা রাজধানীবাসী পরখ করেছে। এবার পেঁয়াজের বাজারে ঝাঁজ ধরেছে। লেগেছে রীতিমতো আগুন। কথাটা আক্ষরিক হলেও এখন সকাল-সন্ধ্যা এ আগুনে পুড়তে হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষকে।

রাজধানীর শনির আখড়া বাজারে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন। কিন্তু বাজারে এসে থ। থ হওয়ায় স্বাভাবিক। কারণ বাজার যে আগুন! পাঁচ কেজি পেয়াজের দর করতেই বিক্রেতা জানালেন, ৪২৫ টাকা। অথচ কদিন আগেও তিনি এই পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে কিনেছিলেন।

শুধু শনির আখড়া নয়, দেশজুড়ে এখন পেঁয়াজের বাজারে বইছে বিরূপ হাওয়া। আর তাতে রাজধানীবাসীকেই বেশি ভুগতে হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম মানভেদে বাড়ানো হয়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এক মাসে তা দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। গেলো সপ্তাহে যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০ টাকা তা এখন বেড়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সিটি করপোরেশনের মূল্য তালিকায় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪২ লেখা থাকলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে।

আমদানি করা খোসা ওঠা ভারতীয় পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হতো ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আর এ সপ্তাহে বড়টি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আর ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর ভাল মানের পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এশিয়ান এজ সূত্রে জানা যায়, যেখানে নাসিকে পাঁচ রুপি কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়, সেখানে দর উঠেছে ৪০ রুপি। অবশ্য আজকের খবরে তা চার থেকে ছয় রুপি কমে ৩২-৩৩ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, আড়তগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মিসরীয় বড় আকারের পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে।

আর মুদি দোকানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮৪ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাবের অভিযোগ, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের অপকৌশলেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

ব্যবসায়ীদের অজুহাতের কোনো শেষ নেই। বৃষ্টি হচ্ছে, তাই দাম বেশি। রাস্তায় চাঁদাবাজি, তাই দাম বেশি। পরিবহন ব্যয় বেশি, তাই দাম বেশি।

কিছুটা আমদানি ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু এর সীমাটা কত? সব কিছুই যুক্তির মধ্যে থাকবে। এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হতে পারে? এর কোনো যৌক্তিকতা আছে? ক্রেতা খোঁজে পান না তার জবাব।

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গরমে ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেকে আগুন, আহত ১০
রাজধানীতে সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
যে কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
দিনাজপুরে দশ মাইলে পেট্রোল পাম্পে আগুন
X
Fresh