৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেলো রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬
৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪টি ক্যাটাগরিতে রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী ২১ জন, বন্ডে বিনিয়োগকারী ৫ জন, বিদেশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন ৪টি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও শীর্ষ রেমিটেন্স আহরণকারী ৫ ব্যাংককে পুরস্কৃত করা হয়।
মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এ পুরস্কার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এবার সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী ও বন্ডে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী। অপর ৯ জন যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, কাতার ও অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী।
শীর্ষ রেমিটেন্স আহরণকারী ব্যাংকগুলো হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড, অগ্রণী, সোনালী ও জনতা ব্যাংক। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্লাসিড ইনক করপোরেশন, ইতালির ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি, যুক্তরাজ্যের এনইসি মানি ট্রান্সফার ও যুক্তরাষ্ট্রের সানম্যান গ্লোবাল এক্সপ্রেস।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে সব অপ্রয়োজনীয় বাঁধাগুলো দূর করতে হবে। আমার বিশ্বাস দূতাবাসগুলো তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। কারণ আজ যারা পুরস্কার পেলেন তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ।
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে আরও কম সময় নিতে হবে। কারণ অবৈধ চ্যানেলগুলো অতি কম সময়ে গ্রাহকের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়। এতে তাদের খরচও অনেক কম পড়ে। এর জন্য বৈধভাবে প্রযুক্তিগত পন্থা বের করতে হবে। আশা করছি রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যাবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমসি/এমকে
মন্তব্য করুন