• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কৃষিঋণ বিতরণ বেড়েছে ৩ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২২ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫৪

দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের ঋণ দেয় সরকার। অঞ্চলভিত্তিক ফসল উৎপাদন, ফসলের ধরন এবং যে এলাকায় যে ফসল ভালো উৎপাদন হয় সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে এ ঋণ দেয়া হয়।
সে অনুসারে সদ্য শেষ হওয়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে দেশের সরকারিও বেসরকারি ব্যাংকগুলো। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ১৭ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। ফলে ১ বছরে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৩ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৮টি ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত ছিল ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। বছর শেষে এসব ব্যাংক ৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, যা লক্ষ্যের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো এ সময়ে ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক ও বিডিবিএল কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। অগ্রণী ব্যাংক ৬৩১ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ডেভোলাপমেন্ট ব্যাংক মাত্র ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। এ ব্যাংকের বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ কোটি।
অন্যদিকে বেসরকারি ফারমার ব্যাংক, মধুমতী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। বিদেশি মালিকানার ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান কৃষি খাতে কোনো ঋণ বিতরণ করেনি।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে আরো দেখা যায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শেষে কৃষি খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। এর আগের অর্থবছর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা।
কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় বলা আছে প্রকৃত কৃষকরাই যেনো সময়মতো ঋণ পান তা নিশ্চিত করতে ঋণের আবেদন সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। কৃষকদের কোনো ঋণ আবেদন বিবেচনা করা না গেলে ঋণ না পাওয়ার কারণ উল্লেখ করে কৃষককে জানাতে হবে। ১০ টাকায় খোলা কৃষক অ্যাকাউন্টকে উৎসাহিত করতে এ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ও কৃষি ভর্তুকি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া কৃষিঋণ বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ কৃষক ১৬২৩৬ নম্বরে ফোন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে পারেন।

এমসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh