অর্থ পাচার হয়, তবে সামান্য : অর্থমন্ত্রী
সুইস ব্যাংকে যে পরিমাণ অর্থ পাচারের কথা বলা হয়েছে, তা বাস্তব সম্মত নয়। যে হিসাবগুলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এগুলো হলো লেনদেনের হিসাব, সম্পদের হিসাব। বিদেশে অর্থ পাচার হয় না এ কথা বলা যাবে না। সত্যি কিছু পাচার হয়, কিন্তু এটা নজরে পড়ার মতো নয়, অত্যন্ত যৎসামান্য। বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার সংসদে সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার বিষয়ে ৩০০ বিধিতে দেয়া বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ ২০১৫ সালে ছিল ৫৮২.৪৩ মিলিয়ন ডলার। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ইন্টিলিজেন্স ইউনিট অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। তা বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সুইজারল্যান্ডেও আমাদের এ ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। তাই নিকটস্থ অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক দেনা-পাওনা, লেনদেন ও নিষ্পত্তি সুইসব্যাংকের মাধ্যমেও পরিচালিত হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দেখা গেছে যে, সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ব্যবসায়িক কারণে অনেক লেনদেন হয়েছে। ২০১৬ সালের হিসাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের খাতে সুইস ব্যাংকগুলোর সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে ২০১৬ সালে ১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এ সময় তাদের দেনা হচ্ছে ৫ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা তারা ঋণ দিয়েছে এবং তাদের কাছে জমা হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন