• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কমতে পারে আবগারী শুল্ক : অর্থ প্রতিমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৩ জুন ২০১৭, ১৮:৩২

আসছে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে ব্যাংক আমানতে প্রস্তাবিত আবগারী শুল্ক কমাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার বাজেট আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন। আমার বিশ্বাস আমাদের প্রধান নেতৃত্ব এবং অর্থমন্ত্রী বোবা-কালা নন। তারা জনগণের ম​ধ্যে বসবাস করেন। সংসদ সদস্যদের কথা শুনে এবং বাইরে জনগণের কথার প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আমরা একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে পারব।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবগারী শুল্ক ১৯৪৭ সাল থেকে​ ছিল। আগে কম ছিল, বাড়তে বাড়তে এখন ৫শ’ টাকা হয়েছে। বাজেটে সেটা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে এ শুল্ক এক হাজার টাকার একাউন্টেও ছিল, এক কোটি টাকার একাউন্ট​ও ছিল।

তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে ভীতি নেই। আলোচনা-সমালোচনা আছে। সদস্যরা নানাভাবে সংসদে বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। নানা প্রস্তাব দিচ্ছেন। আমি মন্ত্রণালয়ের কর্মী হিসেবে কথা দিচ্ছি সব গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাজেট যখন পাস হবে তখন প্রত্যোকটি বিষয় পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে।

ভ্যাটের মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৬৯টি ​দেশে ভ্যাটের প্রচলন আছে। দেশ ভেদে ১৪ দশমিক ০৮ শতাংশ ভ্যাট কাটা হয়। আমরা সেখানে ১৫ শতাংশ করেছি। এটা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু ভ্যাটের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন এসেছে ১৫ শতাংশ নিয়ে। আমাদের দেশে সব নিম্ন আয়ের মানুষ, ৬০/৭০ ভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনি​স ভ্যাটের আওতামুক্ত রেখেছি। চাল, ডাল, পেয়াজ, রসুন, তেল, লুঙ্গি, গামছা ভ্যাটের আওতায় নেই। বাসের ভাড়া, ট্রেনের ইকোনমি ক্লাস, লঞ্চের ভাড়া ভ্যটের আওতায় নেই। তাহলে আমরা কীভাবে অকল্যাণমূলক কাজ করলাম? মানুষের কল্যাণেই আমরা এটা করেছি।

ব্যাংক খাত নিয়ে এমএ মান্নান বলেন, সরকার ব্যাংকগুলোকে সুযোগ ​করে দিচ্ছে। আমরা ব্যাংকগু​লোর আ​ইন পরিবর্তন করেছি, ক​রপোরেট আইন করেছি, বোর্ড পুনর্গঠন করেছি। বাজেট বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন আছে, সেটা আমিও স্বীকার করি। অন্তর্নিহিত কি​ছু সমস্যা আছে। আমরা জতিগতভাবে খুব কর্মঠ জাতি ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি যদি বাশমতি চাল খেতে চাই, সুগন্ধি চাল খেতে চাই, সেটা আমার চয়েস। এটা নিয়ে তো আমার কিছু বলার নেই। তবে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ চাল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে এবং এর মূল্যও সহনশীলতার মধ্যে আছে। কারণ সরকার ১৫ টাকা কেজিতে ও এমএসের চাল দিচ্ছে।

এমসি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh