• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রেমিট্যান্সের শীর্ষে আমিরাত প্রবাসীরা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ আগস্ট ২০১৬, ১৪:১৭

রেমিট্যান্স পাঠাতে দীর্ঘদিন শীর্ষে থাকা সৌদি আরবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের পেছনে ফেলে সেই স্থান দখল করল সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মজীবী বাংলাদেশিরা। ২০১৬ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৭২ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন আমিরাতের বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

এপ্রিল-জুন প্রান্তিক রেমিট্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে জানা যায়, এ প্রান্তিকে দেশে মোট ৩৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১৬) চেয়ে ২৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ডলার বা ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মোট রেমিট্যান্স আসে ৩৫৭ কোটি ২৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

প্রতিবেদনে জানা যায়, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা প্রবাসীরা যে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন; তা মোট রেমিট্যান্সের ১৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শুধু তাই নয়, এই সময়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো ১০ ব্যক্তির মধ্যে ৪ জনই আমিরাতের। একই প্রান্তিকে ৭২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন সৌদি আরবে থাকা প্রবাসীরা। যা মোট রেমিট্যান্সের ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এছাড়া মোট রেমিট্যান্সের ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র, ৯ দশমিক ১১ শতাংশ মালয়েশিয়া, ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ কুয়েত, ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ যুক্তরাজ্য, ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ওমান এবং ১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ অন্যান্য দেশে কর্মজীবী প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন।

শীর্ষ ১০ রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যক্তির মধ্যে প্রথম হয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাহিউল মোহাম্মদ খান মুকিত। দ্বিতীয় আরব আমিরাত প্রবাসী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান। এরপর যথাক্রমে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রেজাউল হাসান, কুয়েত প্রবাসী জাকির হোসেন, আরব আমিরাত প্রবাসী আবুল কালাম, হংকং প্রবাসী ছায়েদুর রহমান হাবিব, আরব আমিরাত প্রবাসী জাফর আহমেদ, আরব আমিরাত প্রবাসী মোহাম্মদ এমাদুর রহমান, কুয়েত প্রবাসী নাজমুল হাসান গাজী এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিজাম মোহাম্মদ মিয়া।

প্রতিবেদনে জানা গেছে, আলোচ্য প্রান্তিকে উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। যা মোট রেমিট্যান্সের ৫৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে এসেছে ৩৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলার; যা মোট রেমিট্যান্সের ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। এশিয়া প্যাসেফিক দেশগুলো থেকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা মোট রেমিট্যান্সের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা মোট রেমিট্যান্সের ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ এসেছে। এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে এসেছে ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। যা মোট রেমিট্যান্সের ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।

ডিএইচ/

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh