• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চীনে আরো ১৭ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ আগস্ট ২০১৬, ১৩:৩৫

বাংলাদেশের আরো ১৭টি পণ্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাচ্ছে।

সোমবার বাংলাদেশ-চীন যৌথ অর্থনীতি কমিশনের (জেইসি) ১৪তম সভায় এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরুর আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোন এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। এতে চীনের হয়ে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস-মিনিষ্টার গাও ইয়ান এবং বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন নেতৃত্ব দেন।

সভা শেষে ইআরডি সচিব সংবাদ সম্মেলনে জেইসি সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।

মেজবাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পানি ব্যবস্থাপনাসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে চীনের ঋণ সহায়তা। বর্তমানে দেশটির সহজ শর্তের ঋণে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে আরো পাঁচ থেকে সাত প্রকল্পের বিষয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব প্রকল্পে প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ পাবার সুযোগ রয়েছে। ঋণের বাইরেও বিল্ড অন অপারেট এন্ড ট্রান্সফার পদ্ধিতিতে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আসতে চায় চীন।

এদিকে, বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অনুদান হিসেবে নতুন প্রযুক্তি সম্বলিত এক হাজার মোটরসাইকেল দিচ্ছে চীন। এসব মোটরসাইকেল অগ্নিকাণ্ড দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সরু রাস্তায় চলাচলের উপযোগী । এ বিষয়ে জেইসি সভায় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে।

ইআরডি সচিব বলেন, সভায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে চীনা প্রতিনিধি দল। বর্তমানে চীনের বাজারে ৪ হাজার ৭০০ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে। এবার বাংলাদেশের দাবির প্রেক্ষিতে গার্মেন্টস পণ্য, সিনথেটিক ফাইবার, তামাক, চামড়া পণ্যসহ মোট ১৭টির ক্ষেত্রেও এ সুবিধা দেবে দেশটি। ঘাটতি কমাতে চীনে বাংলাদেশের বাণিজ্য মেলার আয়োজন করার সুযোগ দেয়ার কথাও জানিয়েছে প্রতিনিধি দল।

মেজবাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ আগ্রহের কথা জানিয়েছে তারা। এরই মধ্যে চীনা অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়নে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়াও সরকারের যে ১০০ অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে সেগুলোতে বিনিয়োগ করতে চায় চীন।

তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জে গার্মেন্টস পল্লীতে আসতে চায় চীন। সেদেশের গার্মেন্টস খাতের কিছু বিনিয়োগ বাইরে নিয়ে যেতে চায়। এক্ষেত্রে চীনা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে বিনিয়োগের পছন্দের স্থান বলে জানিয়েছে। তবে বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং জ্বালানি সমস্যার সমাধান চায় দেশটি। এসব সমস্যা সমাধান ও চীনা অর্থনৈতিক জোনসহ সেদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার কথা বলেছি আমরা।

জেইসি বৈঠকে চীনের অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে, সেসবের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতি তিন মাস পর পর দু’দেশের প্রতিনিধিরা পর্যালোচনামূলক সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সভায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভিসা পদ্ধতি সহজ করার আশ্বাস দিয়েছে চীন।

আসছে ১৫তম জেইসি সভা পারস্পারিক আলোচনার ভিত্তিতে ২০১৮ সালে সুবিধাজনক সময়ে চীনে হবার বিষয়ে একমত হয়েছে দু’দেশের প্রতিনিধিরা।

ডিএইচ/

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh