• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাড়ছে কোরবানির আনুষঙ্গিক পণ্যের দাম

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৯ আগস্ট ২০১৬, ১৬:২৫

কোরবানির ঈদ আসতে এখনো বাকি প্রায় এক মাস। এরই মধ্যে কোরবানির আনুষঙ্গিক পণ্য আদা, রসুন, পেঁয়াজের দাম ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করেছে। গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন ১৮০ টাকায়। কিন্তু এখন দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একইভাবে বেড়েছে আদা ও পেঁয়াজের দাম। এই দাম আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কোনো ধরনের সংকট ছাড়া এভাবে দাম বৃদ্ধিতে বাজার অস্থিতিশীল হবার ইঙ্গিত দেয়।

শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। যা গেল সপ্তাহে ছিল ৮০-৯০ টাকা। আর আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মানভেদে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে মানভেদে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাস ধরে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। সামনে কোরবানির ঈদ। তাই এসব পণ্যের দাম কমার কোনো সম্ভবনা নেই। বরং দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে কাঁচা মরিচ, কপি, শিমসহ কিছু পণ্যের দাম সামান্য কমেছে। প্রতি কেজি শিম ৭৫-৮৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫৫-৬৫ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, করলা ৩৫-৪৫ টাকা, বেগুন ৩৫-৪৫ টাকা, ঝিঙা ৪০-৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪৫ টাকা, টমেটো ৮৫-৯৫ টাকা, কচুর লতি ৪০-৪৫ টাকা, কচুরমুখী ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩৫ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, আলু ২৫-২৮ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, আমদানি গাজর ১১৫-১২০ টাকা এবং বাধা ও ফুলকপি পিস ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু ২৮-৩৬ টাকা এবং কাঁচকলা হালি ২৮-৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, মাছের দাম রয়েছে গেল সপ্তাহের মতোই। প্রতি কেজি মাঝারি রুই ২৪০-২৮০ টাকা, বড় রুই ৩৮০-৫০০, আমদানি রুই-কাতল ২৮০-৪৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৭০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-২১০ টাকা, কৈ ২৪০-২৭০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০- ১৮০ টাকা এবং আকারভেদে ইলিশ প্রতি জোড়া ১০০০-২২০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে, মাংসের দামও রয়েছে আগের মতোই। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪২০-৪৩০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০-৬৫০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০-১৪৫ টাকা, লেয়ার ১৭০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। দেশি মুরগির ডিম হালি প্রতি ৫০ টাকা, হাসের ডিম হালি প্রতি ৪৫ টাকা, ফার্মের মুরগির লাল ডিম হালি প্রতি ৩৫-৩৬ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ডিএইচ/

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh