• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পদ্মায় ভাঙন কবলিত পরিবারের মধ্যে ঢেউটিন ও নগদ টাকা বিতরণ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৮

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের আশ্রয়হীন দেড়শ’ পরিবার ও পৌর এলাকার ১৫০ পরিবারের মধ্যে ঢেউটিন ও নগদ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কেদারপুর ঢালিবাড়ী ও পৌরসভার সামনে এই ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে দুই বান্ডেল করে ঢেউটিন ও নগদ ছয় হাজার টাকার চেক বিকরণ করা হয়েছে।

এছাড়া আশ্রয়হীন মানুষের বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য পাঁচটি নলকূপ, স্যানিটেশন সুবিধার জন্য ৫০টি স্যানিটারি লেট্রিন ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

ত্রাণ বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এম ইদ্রিস সিদ্দিকী, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমীন, নড়িয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ি, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হাফেজ সানাউল্লাহ প্রমুখ।

------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে বৃদ্ধের মরদেহ
------------------------------------------------------------------

এর পূর্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এম ইদ্রিস সিদ্দিকী নড়িয়ায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

কেদারপুর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হাফেজ সানাউল্লাহ বলেন, কেদারপুর ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশির ভাগ লোকজনের বাড়ি-ঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। তারা খুবই কষ্টে আছে। আশ্রয়হীন মানুষের ১৫০টি পরিবারের মধ্যে দুই বান্ডেল ঢেউটিন ও ছয় হাজার টাকার চেক দেয়া হয়েছে। আরও অনেক লোক বাকি আছে। পরবর্তী বরাদ্দ পাওয়া গেলে তাদের দেয়া হবে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমীন বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙনে আশ্রয়হীন মানুষের মধ্যে তিনশ’ পরিবারকে ঢেউটিন ছয় হাজার টাকার চেক দেয়া হয়েছে। এর পূর্বেও শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। পরবর্তী বরাদ্দ পেলে বাকি লোকজনকে ত্রাণ দেয়া হবে। তবে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত ভাঙন স্থবির। নদী ড্রেজিংয়ের জন্য ড্রেজার রওনা হয়েছে। ড্রেজার আসার পর নদীর গতি পরিবর্তনের জন্য নদীর মাঝে চর কেটে যাতে ভাঙন রোধ করা যায় সেজন্য নদী খনন করে স্রোতের গতি পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এম ইদ্রিস সিদ্দিকী বলেন, আমি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। মানুষের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। অনেক লোক আশ্রয়হীন হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে টিন, চাল ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে। আরও দেয়া হবে। পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন বন্ধ থাকলেও আতঙ্ক কাটেনি। পানি কমে গেলে আবারও ভাঙন শুরু হতে পারে। এজন্য নদীতে ড্রেজার বসিয়ে গতি পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন :

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিপুণের প্যানেলে ভাঙন
যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
এবার এশা দেওলের সংসারে ভাঙনের সুর
জাপায় ভাঙনের সুর
X
Fresh