• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এখানে নাকি নদী ছিল, তাও চলতো জাহাজ!

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, খুলনা

  ২০ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:৫০

প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যুদের অবৈধ দখল আর ভরাটে অস্তিত্ব হারাচ্ছে খুলনার ১২টি নদী। এতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় রয়েছে ৯ উপজেলার ১৫ লাখ মানুষ।

খুলনার এক সময়ের প্রমত্তা হামকুড়া নদী এখন শুধুই কাগজে। মাত্র দু’দশকের ব্যবধানে ভরাট হয়ে গেছে এ নদী। বিভিন্ন অংশ ভরাট করে স্কুল, দোকানপাট ও বাড়ি-ঘরসহ নানা স্থাপনা তৈরি করেছেন প্রভাবশালীরা। এসব দেখে বিন্দুমাত্রও বোঝার উপায় নেই এক সময় পণ্যবাহী জাহাজ ও নৌকা চলতো এ নদীতে।

হামকুড়ার মতো খুলনা অঞ্চলের ভদ্রা, হরি, ঢাকি ও আতাইসহ ১২টি নদী এখন মৃতপ্রায়। প্রভাবশালীদের দখল আর খননেন অভাবে ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারাচ্ছে এসব নদী।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি খনন করা না হলে, নদী তীরবর্তী এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা সচেতন নাগরিকদের।

তবে, নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে এবং জলাবদ্ধতারোধে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। তিনি বলেন, নদী বা খাল দখল হয়ে যায় অন্য মানুষের দ্বারা। এ ক্ষেত্রে আমরা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করবো।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, খুলনায় রূপসা, ভৈরব, শিবসা, কাজিবাছা, কপোতাক্ষসহ ছোট-বড় মোট ৪১টি নদ-নদী রয়েছে। এরমধ্যে আরো সাতটি নদীও রয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। এসব নদী দ্রুত দখলমুক্ত করে খননের দাবি জানান স্থানীয়রা।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh