ইয়াবায় গড়মিল, মূল অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে মামলার অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফ সদরে ইয়াবাসহ ১জন আটকের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে মামলা রুজুর অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে ইয়াবা উদ্ধারের পরিমাণ নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোমবার (১৮ জুন) রাত ১০ টায় টেকনাফ সদরের উত্তর নাজিরপাড়ায় হাবিলদার মো: দেলোয়ারের নেতৃত্বে টেকনাফ ২ বিজিবি’র নাজিরপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ি অভিযান চালায়। এসময় মোজাহের মিয়ার ছেলে চিহ্নিত কারবারী মুফতি হাফেজ নুরুল হকের বসতঘর তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা উদ্ধার করে।
কিন্ত মামলা রুজু হয়েছে আবদুল গণির ছেলে ছৈয়দ আলমসহ ২জনের বিরুদ্ধে। মামলা থেকে বাদ পড়েছে বসতঘরের মালিক মুফতি হাফেজ নুরুল হক ও তার ভাই সাহাব মিয়া।
স্থানীয়দের দাবি, অভিযানে ১৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়। কিন্তু মামলায় দেখানো হয়েছে ১৩ হাজার ২ শত ৬৫ পিস।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাতেনাতে আটক ব্যক্তি ছাড়াও ১জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। কিন্তু বসতঘরের মালিক ও ইয়াবার মালিক দুই জনকেই মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। বসতঘরের মালিক (মুফতি হাফেজ নুরুল হক) ইতোপূর্বে ১ শ’ কেজি গাঁজাসহ আটক হয়েছিলেন। তিনি ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন ঢাকায় অবস্থানরত তার ভাই সাহাব মিয়ার কাছে। মূল অভিযুক্ত উল্লেখিত দু’জনই মামলা থেকে বাদ গেল!
টেকনাফ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে বিবাদী করে মামলা রুজু করে বিজিবি।
জেএইচ
মন্তব্য করুন