• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চুরির অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, আটক ৩

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

  ১৫ মে ২০১৮, ১৭:৩২

শরীয়তপুর সদর উপজেলার সন্তোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র শামীম ও তার বাবা খোকন মোল্লাকে ছিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারদের মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। তারা হলেন করম আলী বেপারী, সাহেব আলী বেপারী ও সুমন বেপারী।

এই ঘটনার মূল হোতা হালিম বেপারীকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এর আগে সোমবার রাতে এই ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন খোকন মোল্লার স্ত্রী ফাহিমা বেগম।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মানিকগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে নিহত ৩
--------------------------------------------------------

মামলার বিবরণে জানা যায়, গেল ৫ মে রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের হালিম বেপারীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাহের চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র শামীমকে সকাল নয়টার দিকে আবু আলম মোল্যার বাড়ির কাছ থেকে ধরে নিয়ে যায় হালিম বেপারী। পরে শামীমকে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে নির্যাতনকারীরা শামীমকে মাটিতে শুইয়ে বুকের ওপর পাথরচাপা দেয়। তার মুখে শুকনো মরিচের গুঁড়ো দেয়।এরপর তার গলার ভেতরে গরম পালি ঢেলে দেয়। এই সময় শামীম তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে কাকুতি মিনতি করলেও নির্যাতনকারীরা কোনো সহানুভূতি দেখায়নি। এসময় শামীমের বাবা ভ্যানচালক খোকন মোল্লা এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকেও ধরে নিয়ে একই শিকলে বেঁধে মারধর করে। ওই দিন সকাল নয়টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে এ নির্যাতন।

খবর পেয়ে সন্তোষপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ শামীম ও তার বাবা খোকন মোল্লাকে উদ্ধার করে। এসময় খোকন মোল্লার পরিবার সন্তোষপুর পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দাখিল করে। কিন্তু এসআই জাহাঙ্গীর আরিফ অভিযোগ গ্রহণ না করে পালং মডেল থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন।

এদিকে বাবা ও ছেলের অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ১০ মে স্থানীয়রা তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে জাহাঙ্গীর আরিফের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

শিশু শামীম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমাকে ধরে নিয়ে হালিম বেপারী, করম বেপারী, সাহেব আলী বেপারী গাছের সঙ্গে বেঁধে সারা দিন মারধর করেছে। আমার বাবাকেও ধরে নিয়ে মারপিট করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

মামলার বাদী ফাহিমা বেগম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, হালিম বেপারী ও তার লোকেরা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ছেলে ও স্বামীকে ধরে নিয়ে মারধর করেছে। আমি এদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সোমবার রাতে ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলা করেছে। রাতেই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. আবদুল মোমেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন :

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও
বাবাকে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ, মরদেহ মিলল নদীতে
মিষ্টি কিনে রেখেছিলেন রিঙ্কুর বাবা, কিন্তু জায়গা হলো না বিশ্বকাপে
বাবা-মা হওয়ার গুঞ্জনে যা বললেন তিশা-মুশতাক
X
Fresh