• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গরম জল ঢেলে গৃহকর্মীকে পুড়িয়ে দিল ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী

নরসিংদী প্রতিনিধি

  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:২৩

নরসিংদীতে ফুটন্ত গরম জল ঢেলে মনি আক্তার (১১) নামে এক গৃহকর্মীকে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তপ্ত গরম জলে শিশুটির মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জ্বলসে গেছে।

মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ১৭ জানুয়ারি শহরের টাউন হল এলাকায় নরসিংদী জনতা ব্যাংকে কর্মরত হাসান সারোয়ার সোহেলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

গেলো বুধবার রাসেল নামের এক ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ ঘটনায় মনির বাবা বাদী হয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী মাহামুদা ইয়াসমিন নাজমার নামে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।

মনি আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার রিকশাচালক আবদুল আজিজের মেয়ে। তারা পৌর শহরের দাশপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

মনির পরিবার জানায়, দেড় মাস আগে নরসিংদী জনতা ব্যাংকে কর্মরত হাসান সারোয়ার সোহেলের বাসায় গৃহপরিচালিকার কাজ নেয় মনি আক্তার।

গেলো ১৭ই জানুয়ারি রাতে বড় একটি বাসনে গরম জল ফুটাতে বসান গৃহকর্তা নাজমা। আধঘন্টা পর জল গরম হয়ে গেলে মনিকে চুলা থেকে জল নামানোর নির্দেশ দেন নাজমা।

জলের পাত্রটি ভারি হওয়ায় নাজমাকে পাত্রটি চুলা থেকে নামানের অনুরোধ করে মনি।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: জনগণের সাড়া না পেয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিএনপি : কাদের
--------------------------------------------------------

এতে নাজমা ক্ষিপ্ত মনির ওপর গরম জল ঢেলে দেন। তপ্ত গরম জলে মনির মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। পরে মনিকে চিকিৎসা না করিয়ে লোক মারফত বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। একইসঙ্গে কাউকে কিছু না জানাতে বারণ করে।

পরে আজিজের বাসার আশপাশের লোকজন খবর পেয়ে মনিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে মনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। গেলো ১০ দিন যাবত মনি সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। গেলো বুধবার রাতে রাসেল সরকার নামে একজন ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি তুলে ধরলে এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়।

পরে বুধবার রাতেই মনির বাবা আব্দুল আজিজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিচার চেয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

আব্দুল আজিজ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, পেটের দায়ে শিশু মেয়েটিকে কাজে পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু তারা যে আমার মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করবে তা বুজতে পারিনি। আমি তাদের বিচার চাই।

ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দেয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, শিশুটির বাবা বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদেরকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুন:

জেবি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গরমে প্রশান্তি দেবে তেঁতুল গুড়ের শরবত
তীব্র গরমের জন্য দায়ী সরকার : মির্জা আব্বাস
হিলিতে তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ
গরমে শিশুর যত্নে যা করবেন
X
Fresh