• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

মুক্তিপণে ছাড়া পেল আরো তিন জেলে

মোংলা প্রতিনিধি

  ১০ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:৫০

সুন্দরবনে অপহরণের ১০ দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে দস্যুদের হাত থেকে ফিরে এসেছেন তিন জেলে।

তাদের মধ্যে একজন মোংলা উপজেলার সোনাখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লা। বাকি দুইজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

দস্যু বাহিনীর কাছে অন্তত আরো ১৬ জেলে জিম্মি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলে-মহাজনেরা।

জেলে-মহাজন সূত্র জানায়, গেলো ২৯ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া এলাকায় কাঁকড়া ধরার সময় জেলেদের ওপর হামলা চালায় বনদস্যু মোশারেফ বাহিনী।

এসময় দস্যুরা ১৪টি নৌকার প্রতিটি থেকে একজন করে মোট ১৪জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দস্যুরা অপহরণের পাশাপাশি বিভিন্ন নৌকা থেকে মালামাল লুটে নেয়।

অপহরণের ১০ দিন পর সোমবার (৮ জানুয়ারি) জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন বিকাশের মাধ্যমে দস্যু বাহিনীকে ৩৫ হাজার টাকা দেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ফিরে আসা জাহাঙ্গীর জানান, তার সঙ্গে আরো দুই জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। তবে ভিন্ন ভিন্ন এলাকার হওয়ায় তাদের নাম পরিচয় জানতে পারেননি তিনি।

বাকি নয় জিম্মি জেলের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল, খুলনার দাকোপ ও পাইকগাছা এলাকায়। মুক্তিপণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত না খাইয়ে রেখে তাদের ওপর দফায় দফায় নির্যাতন করা হতো বলে জানান তিনি।

এদিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই (মোংলা) রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কাঁকড়ামারী, তাম্বলবুনিয়া ও আড়ুয়াবয়া এলাকা থেকে গেলো রবি ও সোমবার এই দুই দিনে জেলেদের অপহরণ করেছে বনদস্যু ছোট্ট বাহিনী।

এসময় জেলেদের মারধর ও কয়েক লাখ টাকার মাছ লুট করা হয়। অপহৃতদের মধ্যে আশরাফুল, মনির, ইসরাফিল, সুমন আকন ও সেলিম ফকিরের নাম জানা গেছে। এদের সবার বাড়ি শরণখোলা উপজেলায়।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, গত রবি ও সোমবার শরণখোলার উত্তর রাজাপুর এলাকার জেলেরা মাছ ধরার পর লোকালয়ে ফেরার পথে বনের কাঁকড়ামারী, তাম্বলবুনিয়া ও আড়ুয়াবয়া এলাকায় পৌঁছালে বনদস্যু ছোট্ট বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের নৌকায় হানা দেয়।

প্রথমে দস্যুরা নৌকায় উঠে জেলেদের মারধর করে মাছ লুট করে তাদের ট্রলারে তোলে। এরপর তারা পাঁচ নৌকা থেকে একজন করে দুই দফায় মোট ৭ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে।

এসময় দস্যুরা পাঁচ নৌকা থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার মাছ লুট করে বলে ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) অপারেশন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, দস্যু দমন ও অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু
বিষখালী নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান, জেলে নিখোঁজ
মহিপুরে অগ্নিকাণ্ড, ২৩ মৎস্য আড়ৎ পুড়ে ছাই
চাঁদা আদায় করতে গিয়ে পিটুনি খেলেন ২ মৎস্য কর্মকর্তা
X
Fresh