• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত: ৫ কনস্টেবল ক্লোজড

খুলনা প্রতিনিধি

  ০৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৫৫

খুলনায় এক স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত এবং তার ভাইকে মারপিটের অভিযোগে বটিয়াঘাটা থানার বাইনতলা পুলিশ ফাঁড়ির ৫ কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা খারাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে যাওয়ার পথে উত্যক্ত ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলরা হলেন মো. নাঈম, মামুন, রিয়াজ, আবির ও জাহিদ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়নের নারায়ণখালী গ্রামের মুজিবর রহমানের মেয়ে ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাইনতলা খারাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে যাওয়ার পথে কনস্টেবল নাঈম ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ভাই তরিকুল প্রতিবাদ জানালে পুলিশ কনস্টেবল নাঈম তাকে ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে থানার গারদে আটকে রাখে।

এ খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী ফাঁড়িতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা ফাঁড়ি ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক মামুন ও স্থানীয় আমীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গোলদার মিলন সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা জানার পর ওই ৫ পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়।

ছাত্রীর বাবা মুজিবুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে বাইনতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ শ্রেণিতে পড়ে। খারাবাদ-বাইনতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় কনস্টেবল নাঈম, মামুন, রিয়াজ, আবির ও নায়েব জাহিদ প্রায়ই তাকে ইভটিজিং করে। মঙ্গলবার সকালেও স্কুলে যাওয়ার সময় তারা একই কাজ করে। আমার মেয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আমার দোকানে বসা তার ভাই তারেক মাহমুদকে বিষয়টি বলে। তারেক ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই তারেকুজ্জামানকে বিষয়টি জানাতে যায়; কিন্তু তিনি ক্যাম্পে না থাকায় সে দোকানে চলে আসে। পরে অভিযুক্ত ওই পাঁচ পুলিশ দোকানে এসে তাকে মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে তারা আমার দোকান ভাংচুর করে।’

তিনি জানান, নির্যাতনের শিকার ছেলেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হবে।

স্থানীয় বাইনতলা গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করেন কনস্টেবল নাঈম। এ ঘটনায় তার ভাই প্রতিবাদ করলে তাকে ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসী।

স্থানীয় আমিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গোলদার মিলন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনাটি ওসিকে জানাই। পরে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোজাম্মেল হক মামুন বলেন, ছাত্রীকে উত্যক্তের অভিযোগ সত্য নয়। তবে তরিকুল নামে এক ছাত্র পুলিশের সঙ্গে তর্ক করলে তার সঙ্গে একজন কনস্টেবলের হাতাহাতি হয়। পরে তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে মারধরের অভিযোগ করা হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই পাঁচজন কনস্টেবলকে ক্লোজ করেন।

খুলনার পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা বলেন, বটিয়াঘাটার বাইনতলায় পুলিশের একটি অস্থায়ী ফাঁড়ি রয়েছে। পাঁচজন নয়, ওই ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ১২ জন পুলিশ সদস্যকেই প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়া উত্যক্তের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ি পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তানজিদ নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশের
খুলনায় ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব
ফেসবুকে লাইভের জেরে চাকরি গেল এসপির
ঘের থেকে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো কুমির উদ্ধার
X
Fresh