ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চরম নাব্য সংকট
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে দেখা দিয়েছে চরম নাব্য সংকট। এতে প্রতিনিয়ত ডুবো চরে আটকা পড়ছে ছোট-বড় নৌ যানগুলো। এ অবস্থায় ডুবোচর এড়িয়ে লঞ্চগুলোর গন্তব্যে পৌঁছতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। ফলে যাত্রীদের বাড়তি খরচের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নদী ভাঙন এবং অপরিকল্পিত ড্রেজিং নাব্য সংকটের প্রধান কারণ। স্বল্প ব্যয় ও আরামদায়ক হওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ঢাকা-বরিশাল নৌ-পথ। কিন্তু দেড়শ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নৌ-পথে দেখা দিয়েছে চরম নাব্য সংকট। শীত মৌসুমে প্রকট হয় এ সমস্যা।
এই নৌ-পথে রয়েছে অসংখ্য ডুবোচর। নাব্য সংকটে শীতের রাতে এসব চরে আটকা পড়ছে ঢাকা-বরিশালগামী বিভিন্ন লঞ্চ। ডুবোচর এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয় নৌযানগুলোকে।
এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, যেখানে প্রয়োজন নাই, যেদিকে লঞ্চ চলাচল নাই সেখানে ড্রেজিং হচ্ছে। আর এই নাব্য সংকটের কারণে অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে। ভালোভাবে ড্রেজিং না করায় এর কারণ বলে মনে করেন তারা।
এদিকে লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, বিআইডব্লিউটিএ নাব্য সংকট নিরসনে যে পদ্ধতিতে ড্রেজিং করছে তা পর্যাপ্ত নয়। নাব্য সংকটে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ড্রেজিং হচ্ছে, কাটিং হচ্ছে কিন্তু আমরা এর কোনো সুফল পাচ্ছি না। রাত বারোটার দিকে এখানে লঞ্চের যানজট তৈরি হয়।
নৌ-পথটিতে নিয়মিত ড্রেজিং হচ্ছে এমন কথা জানান নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, ড্রেজিং হচ্ছে। দ্রুত পানি কমছে। আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।
এদিকে বিপদজনক স্থানে দ্রুত ড্রেজিং করার কথা জানান প্রকৌশলীরা।
সঠিক পদ্ধতিতে ঢাকা-বরিশাল নৌ পথে ড্রেজিং করে নৌ যানগুলোর চলাচল নিরাপদ করতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এ প্রত্যাশা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর।
জেবি/এসএস
মন্তব্য করুন