নারী ও তরুণ ভোটার বদলে দিতে পারে রংপুরের রাজনীতি
শেষ পর্যায়ে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের প্রচারণা। তাই চলছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তোড়জোড়। ভোটের পাল্লা ভারী করতে নারী ও তরুণ ভোটারের দিকেই বেশি ঝুঁকেছেন তারা। কারণ রংপুরে নারী ও তরুণ ভোটারদের হাতেই জয়ের চাবিকাঠি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রংপুরে পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি নারী ভোটারও অনেক। সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। তরুণ ভোট আছে ৫০ হাজারেরও বেশি। তাই নারী ও তরুণ ভোটারদের সমর্থনেই এবার নির্ধারিত হবে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়।
রংপুরের তরুণরা বলছেন, তাদের প্রত্যাশা স্টেডিয়াম, খেলার মাঠ ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দেয়া। এছাড়া শিক্ষাবৃত্তি চালু, কর্মসংস্থানের সুযোগসহ নানা সুবিধাও পাওয়া। এই সিটি নির্বাচনে তরুণ ও যুবকদের উন্নয়নে যে প্রার্থী কাজ করবেন তাকেই সমর্থন দেবে তারা।
এদিকে, তরুণদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
সোমবার সকালে নগরজুড়ে দেখা গেছে, নারী ও তরুণরা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ হয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ভোট চাইতে। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের সমর্থন আদায়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তারা।
নগরীর স্টেশন রোডের তরুণ ভোটার রোকসানা হামিদ বলেন, এবার প্রথম ভোটার হয়েছি। নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে ভালো লাগে। এবার এক প্রার্থীর পক্ষে সহপাঠীদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী প্রদীপ চন্দ্র বলেন, তরুণরা এখন যথেষ্ট সচেতন। শুধু প্রতিশ্রুতি দিলেই বা মুখ দেখেই ভোট দিবো না। জেনে বুঝে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিবো।
নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম জানান, নারীরা কথা দিলে কথা রাখেন। আর তরুণরা দারুণ উদ্যমী। ভোটের পাল্লা ভারী করতে তারাই মূল ভূমিকা রাখেন। তাই তাদের সঙ্গেই বেশি সময় দিচ্ছি।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নারী ভোটাররা ওয়াদা করলে ভঙ্গ করেন না। তারা সকালে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটটি দেয়ার পর বাসায় ফিরে সংসারের কাজকর্ম সারেন। আর তরুণরা কর্মী ও সমর্থক হিসেবে কাজ করতে পছন্দ করেন। ভোট দেয়ার আগ্রহ তাদের বেশি।
এসএস
মন্তব্য করুন