• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একজন সংসপ্তক যোদ্ধা বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:১৪

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে জাতির যেসব শ্রেষ্ঠ সন্তান অসীম সাহসে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন তাদের অন্যতম বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ।

একাত্তরের যুদ্ধে যশোরের গোলহাটি গ্রামে সহযোদ্ধাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার সময় পাক হানাদারদের বেয়োনেটের আঘাতে প্রাণ হারান নড়াইলে জন্ম নেয়া বাংলার সাহসী এ সন্তান।

কতটা দেশপ্রেম থাকলে একজন যোদ্ধা মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তা বরণ করে নিতে পারেন, তার অনন্য উদাহরণ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ।

একাত্তরের ৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধে যশোরের গোলহাটি গ্রামে সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে গিয়ে কভারিং ফায়ার করার সময় হানাদার বাহিনীর হাতে জীবন দেন তিনি।

১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের মহিষখোলো গ্রামে কৃষক মো. আমানত শেখ ও জেন্নাতুন্নেসার ঘরে জন্ম নূর মোহাম্মদের। শিশু বয়সেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সুগঠিত শারীরিক গঠন ও অসীম সাহসিকতার কারণে সেসময়ই গোটা গ্রাম জুড়ে তার নাম ছিল।

১৯৫৯ সালে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এ যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে নূর মোহাম্মদের সৈনিক জীবন শুরু। এরপর একাত্তরে ইপিআরের ল্যান্স নায়েক হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায়ই ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে।

দীর্ঘদিনের সামরিক অভিজ্ঞতার কারণে ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদকে অধিনায়ক করে যশোরের ঝিকড়গাছার গোলহাটি গ্রামে স্থায়ী টহলের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানেই দায়িত্বরত অবস্থায় প্রাণ হারান বাংলার এ সাহসী সন্তান।

এ মহান বীরের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁর স্মরণে নড়াইলে একটি পাঠাগার ও স্মৃতি সংগ্রহশালা তৈরি করা হলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত এটি।

দেশের জন্য প্রাণ দেয়া বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদের দেশপ্রেমের কাহিনী নতুন প্রজন্মকে সঠিকভাবে জানাতে সরকারের জোরালো উদ্যোগ চান নড়াইলবাসী।

আরকে/জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh