• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাদের নামে টাকা আত্মসাতের মামলা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ২৩:১৪

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ঋণ গ্রহীতার নাম ব্যবহার করে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত তিন ম্যানেজারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আসামিরা হলেন, সাবেক ম্যানেজার ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (অব:) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হিরোন্যকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ সেখের ছেলে মো. ফেরদৌস আলম, ম্যানেজার ও সিনিয়র অফিসার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কুলধর গ্রামের মৃত শফিউদ্দিনের ছেলে এস এম জাহাঙ্গীর আলম, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের সরদারের ছেলে অফিসার ও ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর সরদার, রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার রায়পুর গ্রামের মৃত সুধীর কুমার মৈত্রের ছেলে ম্যানেজার ও সিনিয়র অফিসার সন্তোষ কুমার মৈত্র এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মৃত তাহাজ্জেদ হোসেনের ছেলে অফিসার মো. আকতার হোসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাটিয়াপাড়া সোনালী ব্যাংকের বর্তমান শাখা ব্যাবস্থাপক এসপিও মো. মোসলেম মোল্লা সোনালী ব্যাংকের পক্ষে বাদী হয়ে সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করে কাশিয়ানী থানায় এ মামলা করেন। সবাই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, অভিযুক্ত ঐ ব্যাংক কর্মকর্তারা ১৯৯৩ সালের ৪ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের ভাটিয়াপাড়া শাখায় ম্যানেজার ও অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্বে থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকার কামাল মৃধা, আনোয়ার হোসেন মৃধা, বরফ মৃধা, সানোয়ার হোসেন মৃধা ও কবির মুন্সিসহ ১হাজার ৩০২জন গ্রহীতার নাম ব্যাবহার করে একাধিকবার লোন পাশ, নির্ধারিত সীমানার বাইরে অনিয়মে একাধিক লোন প্রদান ও ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০টাকা উত্তোলন করেছেন।

বিষয়টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. ছরোয়ার হোসেন, এ এইচ এম শফিকুর রহমান ও আবুল কালাম শিকদারের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি (অডিট কমিটি) গঠন করা হয়। এ ব্যাপারে ২৮ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা প্রতিবেদনে অনেক লোন গ্রহীতার আবেদন ফর্মে কোন স্বাক্ষর নাই জানিয়ে এসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রিজিওনাল অফিস গোপালগঞ্জ মো. বাবুল হালদারের দপ্তরে জমা দেন।

কাশিয়ানী থানার ওসি একেএম আলী নূর হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে এবং তা তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

এএ/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ 
কুকি-চিনের হাতে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে বদলি
৪৪ বিলিয়ন ডলার জালিয়াতির দায়ে ভিয়েতনামের ধনকুবেরের মৃত্যুদণ্ড
‘ব্যাংক ম্যানেজারের কারণে টাকা লুট করতে পারেনি সন্ত্রাসীরা’
X
Fresh