• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পানিবন্দি ঈদ আনন্দ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, কক্সবাজার

  ২৭ জুন ২০১৭, ০৯:০৭

ঈদের নামাজের পর পরই হঠাৎ জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হওয়ায় অনেকটা বন্দি অবস্থায় ঈদ কাটাচ্ছে কক্সবাজার সদরের পোকখালীর উপকূলীয় গোমাতলীর আট গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ।

জোয়ারের পানিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। গ্রামীণ রাস্তার পাকা আস্তরণ উঠে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে বেড়েছে দুর্ভোগ।

এর আগে ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে সেখানকার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এর ফলে এক বছর ধরেই গোমাতলীর ঘেরগুলো তলিয়ে আছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে বেড়িবাঁধে ফের নতুন ভাঙন দেখা দেয়। সোমবার ঈদের নামাজের জামাত শেষ হতে না হতেই ওই ভাঙন শুরু হয় জোয়ারের পানি আসা।

এদিকে পানি বাড়ায় আয় রোজগার কমছে ওই এলাকার মানুষজনের। কাজ হারিয়ে অনেকেই শহরের দিকে পাড়ি জমাচ্ছেন।

পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলাউদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে বেড়ি বাঁধটির ৬ নম্বর স্লুইস গেইট এলাকায় প্রায় একশ মিটার ভাঙনের কবলে পড়লেও তা মেরামত করা হয়নি। পরে এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ৪৪ একর এলাকার ৮ নম্বর স্লুইস গেইটের বিশাল অংশ ভেঙে যায়।

তিনি আরো জানান, ভাঙনের কারণে এখানকার উত্তর গোমাতলী, আজিমপাড়া, কাটাখালী ও রাজঘাট, চরপাড়া, কোনাপাড়া, বদরখালী পাড়া ও পশ্চিমপাড়ার নিচু অংশ জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাঠদান।

পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানান, বেড়ি বাঁধটি ঠিক করা এখনো সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, বাঁধের ভাঙনটি মেরামতে পাউবো বরাদ্দ দিয়েছে বলে জেনেছি। নতুন ভাঙনের জন্যও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh