• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রামপাল বিরোধী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, খুলনা

  ২০ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:০৪

সুন্দরবনের কাছাকাছি রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা জানিয়েছে বাম রাজনৈতিক দলগুলোর জোট তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন তিনি।

সমাবেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের মিথ্যাচার ছড়িয়ে সরকার রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবনবিনাশী অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এসব প্রকল্পে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ জীবনজীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্তু হবে, পাঁচ কোটি মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে অরক্ষিত করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হবে।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, চীন, ভারত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের দিকে যাচ্ছে। আর তাদের বাতিল প্রকল্প, বাতিল বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে আসছে। রামপাল প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানি, এক্সিম ব্যাংক সবাই মুনাফা করবে। বাংলাদেশের ভাগে থাকবে শুধু লোকসান ও সর্বনাশ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক আরো বলেন, জনগণ সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের শক্তি। সরকার ৭ বছর ধরে প্রকল্পটি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র-বিরোধী আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করছে। মানুষ ভয়ভীতি উপেক্ষা করে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তুলেছে। প্রকৃতিবিনাশী এ প্রকল্প মানুষ মেনে নেবে না।’

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, বাসদের (মার্ক্সবাদী) শুভ্রাংশু চক্রবর্তী। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির খুলনার সংগঠক মনোজ দাস।

২৫ এপ্রিল কর্মসূচি শুরু হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর শেষে হবে কনভেনশনের মাধ্যমে। ২৫ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন উপকূলীয় অঞ্চলে জেলা ও উপজেলায় সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ করবে জাতীয় কমিটি। এর বাইরে মে মাসে রয়েছে সরকারের ব্যয়বহুল পরিবেশ বিধ্বংসী, ঋণ নির্ভর বেশি দামের বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনার বিপরীতে সুলভ, পরিবেশ বান্ধব, ঋণ বা অপচয় মুক্ত ও দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিকল্প বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন এবং দেশব্যাপী তা নিয়ে জনমত গঠন। ১৫ জুলাই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে টেকসই পরিবেশ বান্ধব কর্মসংস্থান নির্ভর উন্নয়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন।

২৫ জুলাই শ্যামনগর থেকে শরণখোলা উপকূলীয় মানুষদের মানববন্ধন এবং তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশে-বিদেশে সংহতি কর্মসূচি। ৯ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন আন্দোলনে যুক্ত সকল দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, সংগঠন ও ব্যক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সুন্দরবন কনভেশন। কর্মসূচির মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্প বাতিল না করা হলে রামপাল মার্চ, দেশব্যাপী হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকল্প বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করার হুমকি দেয়া হয় সমাবেশে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh