• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সিএনজি চালকদের ধর্মঘট হাস্যকর: ভোক্তা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:২৯

উবার ও পাঠাও এর মতো অ্যাপ নির্ভর পরিবহন সেবা বন্ধসহ আট দফা দাবিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আগামী ২৭ ও ২৮ নভেম্বর ধর্মঘট ডেকেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা।

ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা ও মিশুক ইউনিয়নের সদস্য সচিব শাখাওয়াত হোসেন দুলাল জানান, ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাচ্ছেন তারা।

গেলো ১৫ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘটসহ এক মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার পারভেজ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কালকে (রোববার) পান্থপথ বসুন্ধরা সিটি থেকে নাজিরা বাজার ২৫০ টাকার নিচে আসবে না! মিটারে আসলে ১২০-১৫০ হতো। প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর ২০০ টাকায় বাড়ি ফিরলাম, তাও বেশি! সিএনজি চালকরা কি বলতে চান, সিএনজিতে উঠা সব মানুষ বড়লোক? আমি অবশ্যই আইনের পক্ষে আর আইন অনুযায়ী এরা মিটারে চলে না। অন্য দেশে তো এমন দেখলাম না! ওই দেশের সিএনজি চালকরা কি শিল্পপতি?

সিএনজি অটোরিকশা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে ১৫ বছর ধরে যেসব অটোরিকশা চলছে, সেগুলোর ইঞ্জিন ও চেসিস পুরানো হয়ে কার্যকারিতা হারিয়েছে। চেসিস ও ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন করা না হলে দুর্ঘটনায় যাত্রী ও চালকের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

ইউনিয়নের নেতা শাখাওয়াত হোসেন জানান, মালিক সমিতির অসাধু নেতারা বুয়েট, বিআরটিএ ও মন্ত্রণালয় থেকে মেয়াদ বাড়ানোর নামে অটোরিকশার মালিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে।

তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলা অটোরিকশার মেয়াদ শেষ হলেও নতুন ইঞ্জিন ও গ্যাস সিলিন্ডার প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এগুলোর ইকোনমিক লাইফ ছয় বছর বাড়ানোর যে আবেদন মালিক সমিতি করেছে, আমরা তার তীব্র বিরোধিতা করছি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাফসান হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে উবার-পাঠাও-সিএনজি-বাস সবই দরকার আছে। পাকিস্তানে টুকটুক (সিএনজি) অ্যাপ নির্ভর এবং ভালোই সার্ভিস দিচ্ছে। যদিও আমাদের সিএনজি চালকদের আচরণ জঘন্য। এদের আচরণ আর সিএনজি মালিকদের জিহ্বা যদি ছোট করা যায় তাহলে দেশের পরিবহন সেবা অনেকটাই পরিবর্তন হবে। কারণ আমরা যারা ঢাকা শহরে ও চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করি তাদের কাছে কিন্তু সিএনজিটা বিরক্তিকর।

তিনি আরো বলেন, যদিও সিনিয়র সিটিজেনদের কাছে এখনো গণপরিবহনের সেরা বিকল্প হচ্ছে সিএনজি। আবার এই দুই শহর থেকে বের হলে দেখা যায় সিএনজির বিকল্প এখনো কিছুই হয়নি। এছাড়া মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যারা এর বাইরে তারাও তো ধর্মঘটের খবর পড়ে জানতে পেরেছে যে অনলাইন রাইড শেয়ারিং বলে দুনিয়াতে কিছু আছে। তাই সিএনজি বন্ধ না করে জোর করে আধুনিকায়ন করা উচিত। এরপরও চালক আর মালিকরা ভালো না হলে নাই। যাদের ইচ্ছা হবে তারা সিএনজিতে চড়বে, যাদের ইচ্ছা হবে না তাদের তো অনেক বিকল্প উপায় আছেই।

এদিকে আগামী ২২ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ করবে সিএনজি অটোরিকশা ও মিশুক ইউনিয়ন। ওই দিনই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামে শ্রমিক সমাবেশ এবং ১০ ডিসেম্বর বিআরটিএ ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

সিএনজি অটোরিকশা চালকদের আট দফা দাবি হলো-

১. ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচল করা মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশা অপসারণ করে নতুন অটোরিকশা প্রতিস্থাপন।

২. চালকদের নামে ঢাকায় পাঁচ হাজার এবং চট্টগ্রামে চার হাজার অটোরিকশা বিতরণ।

৩. উবার ও পাঠাওয়ের মতো অ্যাপনির্ভর পরিবহন সেবা বন্ধ করা।

৪. খসড়া পরিবহন আইন থেকে ‘শ্রমিক স্বার্থবিরোধী’ ধারা বাতিল।

৫. ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে ব্যবহারিক পরীক্ষা বন্ধ করা।

৬. অননুমোদিত পার্কিংয়ের জন্য মামলা না করা।

৭. চালকদের হয়রানি বন্ধ করা।

৮. নিবন্ধিত অটোরিকশা চালকদের ঢাকা জেলার সব জায়গায় চলাচলের অনুমতি দেয়া।

বেশির ভাগ দাবিকেই হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নুজহাত রোথী বলেন, আগে তারা যথাযথ মিটার রেটে যাওয়া শুরু করুক, তারপর দাবি জানাক৷ ৫ নম্বর দাবির কোনো মানে হয়? পুরাই মামাবাড়ির আবদার৷

ওয়াই/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • জনদুর্ভোগ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এফডিসিতে মারামারি, যা বললেন অঞ্জনা
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, যা বললেন মিশা-ডিপজল
সুনামগঞ্জ শহরে ট্রাক্টর ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
টেকনাফে সিএনজি থামিয়ে চিকিৎসকসহ ২ যাত্রীকে অপহরণ 
X
Fresh