অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে মিথ্যা তথ্য দিলে ২ বছরের জেল (ভিডিও)
শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয়ের পরিচয়ে মিথ্যা তথ্য দিলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন ২০১৭’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসঙ্গে উভয় দণ্ড দেয়ারও বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া আইনের অন্যান্য যেকোনো বিধি লঙ্ঘন করলে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আশরাফ শামীম প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সংশোধিত আইনে কিছু সংজ্ঞা পরিমার্জিত ও পুনর্গঠিত হয়েছে এবং আইনে কিছু বিষয় সংযোজিতও হয়েছে।
আশরাফ শামীম বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো হাসপাতাল মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করতে পারবে না। তবে সরকারি হাসপাতালে যেখানে বিশেষায়িত ইউনিট আছে সেখানে এ ধরনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
নিকট আত্মীয়ের মধ্যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করা যাবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনে নিকট আত্মীয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী এবং রক্তের সম্পর্কের আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা, নানা-নানী, দাদা-দাদি, নাতি-নাতনি এবং আপন চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো, খালাতো ভাই বা বোন।
তিনি বলেন, আগের আইনে নিকট আত্মীয় বলতে ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা, ভাই-বোন, ও রক্তের সম্পর্কের আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা ও স্বামী-স্ত্রী।
নতুন আইনে নিকট আত্মীয়ের সংজ্ঞা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে চোখ ও অস্থিমজ্জা সংযোজনের ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয় হওয়ার আবশ্যকতা নেই বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।
সি/
মন্তব্য করুন