'লেখা পছন্দ না হলে হত্যা কেনো করবে?'
ব্লগাররা ইন্টারনেটে লেখালেখির মাধ্যমে তাঁদের মতামত ও চিন্তাধারা অন্যের কাছে তুলে ধরেন। কারো সেটি পছন্দ না হলে তিনি আরেকটি লেখা লিখতে পারেন। কিন্তু লেখা পছন্দ না হলে হত্যা কেনো করবে? কিন্তু সেটাই হয়েছে। কোনো যৌক্তিক বিরোধিতা ছাড়াই ব্লগারদের হত্যা করা হলো। বললেন খুন হওয়া বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বাবা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. অজয় রায়।
অভিজিৎ রায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে রোববার রাজধানীর শাহবাগে ‘মুক্তবুদ্ধিচর্চা ও সামাজিক ন্যায়বিচার: কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ’ এসব কথা বলেন তিনি।
অজয় বলেন, সরকার আশ্বাস দিয়েছে, শিগগিরই অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। আশা করছি, কথার বরখেলাপ হবে না। বরং কেবল অভিজিৎ নয়, সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, সরকারের মদদে ধারাবাহিকভাবে ব্লগার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। যে আন্তরিকতা সরকার সাংসদ খুন হলে দেখাতে পারে, কেনো একই আন্তরিকতা ব্লগারদের ক্ষেত্রে দেখাতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, দু'মাসের ভেতরে যদি ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হয়, তবে কেনো ত্রিস্তর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে হওয়া অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন দুই বছরেও দাখিল করা সম্ভব হয় না?
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, অভিজিৎ রায়ের সহোদর অনুজিৎ রায়, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিএম জিলানী শুভসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
সভাশেষে একটি আলোর মিছিল বের করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
এসজে
মন্তব্য করুন