ডলারের দাম বাড়িয়ে তেলের দাম কমানো উচিত
ডলারের দাম আরো ২-৩ টাকা বাড়ানো দরকার। এতে হুন্ডিও কমবে। একইসঙ্গে তেলের দাম কমানো উচিত। ব্যাংকের ভেতরে ডলারে দাম দু’রকম। এরও সুরাহা দরকার। দাবি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র।
শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এসব মতামত তুলে ধরা হয়।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, ঋণ প্রবাহের প্রভাব, সরকারের ১০টাকা কেজিতে খাদ্য কর্মসূচি, বাংলাদেশ ভারত যোগাযোগ ব্যবস্থার সবশেষ চিত্র ও রেমিটেন্স কমার কারণ তুলে ধরেন রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
সংস্থাটি জানায়, গেলো ৬ মাস দেশের অর্থনীতিতে সুবাতাস ছিল। তবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গতি শ্লথ হয়ে পড়া এবং কৃষিতে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রথাগত শক্তির জায়গাগুলোতে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে।
সংস্থাটি আরো জানায় ডলারের দামের সমন্বয়, তেলের দাম কমানো এবং সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো জরুরি। প্রবৃদ্ধিকে নতুন মাত্রায় নিতে ব্যাংকিং খাত সংস্কার, সরকারি বিনিয়োগ মানসম্পন্ন করা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে উন্নয়ন ক্ষমতা দিতে হবে। রপ্তানি আয় বাড়াতে, নতুন পণ্য ও বাজার বের করতে হবে। মনে রাখতে হবে ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় বড় লক্ষ্য। এজন্য কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানায়, ব্যাংকিং খাতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কমিশন গঠনের কথা বলছি। অর্থমন্ত্রীও বলেছিলেন, কমিশন গঠন করবেন। কিন্তু তা এখনো হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সরকারি বিনিয়োগ এখন অনেক। তবে বিনিয়োগ মানটা দেখা উচিত। সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণ কিছুটা বাড়লেও তা দুঃশ্চিন্তার কারণ হবে না। যদিও আরো কিছুটা সুদহার বাড়িয়ে অর্থ নেয়া যাবে। তবে পরিশোধের মেয়াদকাল ঠিক রাখা উচিত।
এমসি/ডিএইচ
মন্তব্য করুন