• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চলতি বছরে ২ লাখ শ্রমিক কম গেছে বিদেশে

মিথুন চৌধুরী, আরটিভি অনলাইন

  ১২ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৪২

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশে কাজের জন্য গিয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৩ জন। এর মধ্যে শ্রমিকরা বেশি বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন সৌদি আরব, কাতার ও মালোশিয়ায়। গেল বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশ শ্রমিক পাড়ি দিয়েছিলেন ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬১ জন। ফলে একই সময়ে শ্রমিক প্রেরণের সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৮ জন। এছাড়া ২০১৭ সালে বিদেশে শ্রমিক পাড়ি দিয়েছেন ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএমইটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিদেশে শ্রমিক গিয়েছে ৮১ হাজার ৮৪৬ জন, ২০১৭ সালে যা ছিল ৮১ হাজার ৪৩৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে গিয়েছে ৫৯ হাজার ৩৮২ জন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৮৫ হাজার ৩৮ জন, মার্চে গিয়েছে ৬২ হাজার ৯৭৩ জন, যা ২০১৭ সালে ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৫০১ জন, এপ্রিল মাসে গিয়েছে ৬৯ হাজার ১০৩ জন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৯৫ হাজার ৪৮৫ জন, মে মাসে গিয়েছিল ৭৩ হাজার ৭২৩ জন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৮৩ হাজার ৭০৭ জন।

এছাড়া জুন মাসে বিদেশ গিয়েছে ৪৪ হাজার ৯৭৫ জন, যা ২০১৭ সালে ৬৮ হাজার ৩২৫ জন, জুলাই জুড়ে বিদেশ গিয়েছেন ৫৮ হাজার ৬২৭ জন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৭৬ হাজার ২১৫ জন, আগস্ট মাসে বিদেশে শ্রমিক গিয়েছে ৪৯ হাজার ৭২৭ জন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৯৩ হাজার ৩৪১ জন, সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশে গিয়েছে ৫৫ হাজার ৩৭ জন শ্রমিক, যা ২০১৭ সালে ছিল ৪৬ হাজার ৪১৫ জন।

এদিকে চলতে বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে বিদেশে শ্রমিক পাড়ি দেয়ার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। এ সময়ে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২২৩ জন দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া। এ সময়ে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন কাতার। কাতারে এ সময়ে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছে ৫৬ হাজার ৭০৮ জন। ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে ওমান। এই সময়ে ওমানে পাড়ি দিয়েছে ৫৩ হাজার ৩৭২ জন। ৫ম অবস্থানে রয়েছে কুয়েত। এ সময়ে কুয়েতে গেছে ২৫ হাজার ৬৫২ জন। একই সময়ে সবচেয়ে কম শ্রমিক গিয়েছে ইংল্যান্ডে, যার সংখ্যা মাত্র ৬ জন শ্রমিক।

অন্যদিকে গেল ৯ মাসে যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন ৬১ জন, ইরাক পাড়ি দিয়েছেন ১২ হাজার ৩১০ জন। এছাড়া বাকি বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮১ জন শ্রমিক।

চলতি বছরের ২২ এপ্রিল এক সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৮ সালে ১২ লাখ শ্রমিক পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্র জানায়, বিদেশে বাংলাদেশে জনশক্তির সবচেয়ে বেশি চাহিদা দক্ষ শ্রমিকের। এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স, ড্রাইভার, ওয়েল্ডিংয়ের কাজ, নির্মাণ শ্রমিক ও গৃহকর্মীদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এসব খাতে চাকরি নিয়ে গেলে ভালো বেতনও পাওয়া যায়। এ কারণে সরকার থেকেও দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব জনশক্তি রপ্তানি করলে রেমিট্যান্স আয়ও বেশি হয়। বর্তমানে ৭০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৪৮টি ট্রেডে দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিএমইটি’র মাধ্যমে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কার্যক্রম ই-মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে শ্রমিকদের পাড়ি জমানোর পরিমাণ ক্রমাগত বাড়লেও এসব শ্রমিকের অর্ধেকই অদক্ষ। অন্যদিকে নতুন শ্রমবাজার খুঁজে না পাওয়ায় এখনও মধ্যপ্রাচ্যের প্রচলিত বাজারগুলোই বাংলাদেশিদের গন্তব্য। কিন্তু সেখানে তেলের দাম কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক মন্দায় চরম বিপাকে আছেন প্রবাসীরা। ফলে প্রবাসী আয়ও কমেছে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার। যা টাকার অংকে ৯৯ হাজার ৫০৬ দশমিক ৭১ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন :

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি’
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রীর সফরে চোখ সবার
৯ মাসে সুদ পরিশোধ ১০০ কোটি ডলারের বেশি
বিদেশি শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিল কুয়েত
X
Fresh