• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাস্তুরিত দুধে জীবাণু: দুটি সিলগালা, নজরদারিতে ৪ প্রতিষ্ঠান

জাহিদ রহমান

  ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ২২:২৫

দেশের বেশীরভাগ পাস্তুরিত দুধেই জীবাণুর উপস্থিতি পেয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। বাজারে প্রচলিত ১০টি নামকরা প্রতিষ্ঠানের পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে ৮টিতেই কোনও না কোনও মাত্রায় ক্ষতিকর অণুজীবের অস্তিত্ব পায় কর্তৃপক্ষ। খাবার অযোগ্য হওয়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়। নজরদারিতে রাখা হয়েছে আরও চার প্রতিষ্ঠানকে।

পাস্তুরিত তরল দুধের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে দুগ্ধ খামার। সেই দুধ খামার থেকে সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে সংরক্ষণ ও বিপণন করা হলেও এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মানা হচ্ছে না। আইসিডিডিআরবির এক গবেষণা অনুযায়ী, বেশিরভাগ পাস্তুরিত দুধই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত। হাইকোর্ট গত ২১ মে সরকারকে এমন তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন।

কয়েকদফা সময় বৃদ্ধির পর পাস্তুরিত তরল দুধের নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি। কমিটি দেখতে পায় স্থানীয় পর্যায়ের বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠান পাস্তুরিত দুধ উৎপাদনের প্রচলিত মানদণ্ড মানছে না।

এ ব্যাপারে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুল হক আরটিভিকে বলেন, বাজারে প্রসিদ্ধ দশটা বড় বড় কোম্পানির উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পর্যায় পর্যন্ত আমরা দুধের নমুনা সংগ্রহ করে দেখেছি। তাদের মধ্যে দুটি কোম্পানিকে সিলগালা করা হয়েছে। আরও কিছু কোম্পানিকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের কার্যক্রম আমরা তদারকি করছি।

বিপণন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে পাস্তুরিত দুধ ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। দুধ মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তা নিরাপদে সংরক্ষণ জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও।

এ ব্যাপারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. প্রণব চৌধুরী আরটিভিকে বলেন, ব্যাকটেরিয়াযুক্ত দুধ খেলে সরাসরি পাকস্থলিতে সমস্যা হয়। আমাদের পাকস্থলিতে নরমাল কিছু ফ্লোরা থাকে। এই ফ্লোরাগুলো আমাদের শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু ব্যাকটেরিয়াযুক্ত দুধ খেলে সেই ফ্লোরাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এতে খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলো পাকস্থলিতে স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যাকটেরিয়াযুক্ত দুধ খেলে ডাইজেসানের সমস্যা হয়। এছাড়া খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিক, আলসার ও ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ হতে পারে।

আরসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দেশের ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যান্সারের জীবাণু
X
Fresh