• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নেতৃত্বশূন্য করাই ছিল ঘাতকগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য

এহতেরামুল হক

  ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ০৯:০১

জাতির ইতিহাসের আরো একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় ৩ নভেম্বরের রাত। সেই কালরাতে নির্মম ও বর্বরোচিতভাবে খুন করা হয় বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপকার জাতীয় ৪ নেতাকে। জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে আদর্শহীন ও নেতৃত্বশূন্য করাই ছিল ঘাতকগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য- এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাতীয় ৪ নেতার স্বজনরা।

ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসায় ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ভোরে ঘাতকরা নৃশংসভাবে হত্যা করে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাদ পড়েননি তার পরিবারের সদস্যরাও। এ হত্যাকাণ্ডের শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জাতি প্রত্যক্ষ করে আরো একটি কলঙ্কময় ঘটনা। মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ৩ নভেম্বর রাতে সুরক্ষিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঘাতকদের নৃশংসতার শিকার হন বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচর ও জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারার রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার হীন চক্রান্ত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি। শুধু
হত্যা করেই থেমে থাকেনি ঘাতকচক্র। হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্টের সবরকম প্রচেষ্টাও অব্যহত রাখে তারা।

সব বাধা অতিক্রম করে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে জেলহত্যাকাণ্ড মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছিল, তাদেরও বিচার দেখতে চায় জাতি।

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার নির্দেশিত পথেই জাতীয় ৪ নেতার বিচক্ষণতায় স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। নিষ্ঠার সঙ্গে তারা পালন করেন নিজেদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরীক্ষিত ৪ সৈনিক ছিলেন নীতির কাছে আপসহীন। তাদের দেখানো পথে চললেই আলোর পথে এগিয়ে যাবে দেশ। সমৃদ্ধ হবে রাষ্ট্র ও সমাজ। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল স্মরণ করবে জাতি।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh