বাংলাদেশের মানবিকতায় মুগ্ধ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিকতার যে উদাহরণ স্থাপন করেছে, তাতে মুগ্ধ ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত এবং বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির ঘুরে এসে বৃহস্পতিবার ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, মানবিকতার কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ। এই মানবিকতা সারা বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তবে বর্ষা মৌসুমে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকি থেকে তাদের রক্ষার যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
রোহিঙ্গা শিশুদের বিষয়ে তিনি বলেন, শরণার্থী শিশুদের দায়িত্ব পুরো পৃথিবীকে নিতে হবে। তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাদের সমস্যাটি মানবিক দিক দিয়ে দেখতে হবে। এসব শিশুরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
সাবেক বিশ্ব সুন্দরী বলেন, আমি রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে মিশেছি। তাদের সঙ্গে খেলেছি।
৫-৬ বছরের শিশুদের চিত্রকর্ম দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তারা দেখেছে মাথার উপরে রকেট লঞ্চার, পায়ের তলায় মাইন। তারা সেটা মনে রেখেছে এবং এঁকেছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা বাবা-মায়েদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের একটি হচ্ছে সন্তানদের পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনা। শিক্ষা ও শেখার সুযোগ না পেলে রোহিঙ্গা শিশুরা হারিয়ে যাওয়া একটি প্রজন্মে পরিণত হবে। শিক্ষা কোনো পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সীমা সেন গুপ্ত, ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস চিফ জ্যঁ জ্যাক সিমনসহ অনেকে।
জাতিসংঘ সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে সোমবার বাংলাদেশে আসেন প্রিয়াঙ্কা। গত ৪ দিন তিনি উখিয়া ও টেকনাফের ১০টি শরণার্থী শিবির এবং সীমান্তের কাছের রোহিঙ্গা আগমনের ট্রানজিট পয়েন্ট ঘুরে দেখেন। রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন তাদের বাস্তবতা ও সঙ্কট।
কে/
মন্তব্য করুন