যে কারণে জামিন পেলেন খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। খালেদা জিয়ার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আদালত এ আদেশ দেন। বললেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
রায় ঘোষণার পর আজ (সোমবার) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের প্রমাণ করে সরকার আদালতের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করেন না। আদালত স্বাধীন। আদালতের এ রায় জেলখানায় আসার পরই বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন।
খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে আদালত চারটি গ্রাউন্ড বিবেচনায় আনেন।
গ্রাউন্ডগুলো হলো-
১.খালেদা জিয়ার সাজার পরিমাণ কম।
২. তার বয়স্ক ও শারীরিক বিবেচনা।
৩. জামিনের শর্ত ভঙ্গ হয়নি।
৪. এবং নিম্ন আদালতের নথি উচ্চ আদালতে আসা বা আপিল শুনানি শুরু হয়নি।
জামিন আদেশ দেয়ার পর চার মাসের মধ্য আপিলের জন্য পেপার বুক তৈরি এবং আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন আদালত।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ‘প্রমাণ হলো সরকার বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করে না’
--------------------------------------------------------
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
গতকাল রোববার বিশেষ আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে না পৌঁছায় আদেশের জন্য আজকের দিন সোমবার ঠিক করেছিলেন আদালত। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় আজ দুপুরের পরে নিম্ন আদালত থেকে রায়ের নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।
গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। পাশাপাশি স্থগিত করেন তার অর্থদণ্ড। এর ধারাবাহিকতায় আজ এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন