• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার সম্পূর্ণ চালু হচ্ছে ২৬ অক্টোবর

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:৪০

রাজধানীবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভারের দ্বার খুলছে। প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটির কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ সমন্বিত উড়ালসড়কটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটির উদ্বোধন করবেন।

আরটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক, প্রকৌশলী ও উড়াল সড়কটির প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল।

দেশে এখন পর্যন্ত যে ক’টি উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, তার মধ্যে এটি দৈর্ঘ্যরে দিক দিয়ে দ্বিতীয়। ২০১১ সালে একনেকে ফ্লাইওভারটি নির্মাণে প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়। ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠানামার জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশ এরইমধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, নিউ ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত এবং পরের ধাপে বিএফডিসি মোড় থেকে কারওয়ানবাজারের অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে (অক্টোবর) মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশ খুলে দেয়া হচ্ছে।

রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে পর্যাপ্ত ‘রাইট টার্ন’না রাখায় ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছে। ফ্লাইওভারের ওপরে যানজট এড়াতে মালিবাগ এবং মৌচাক পয়েন্টে এই সিগন্যাল স্থাপন করা হয়েছে।

এরমধ্যে বাংলামোটর, মালিবাগ ও শান্তিনগর থেকে আসা গাড়ি এসে মিলবে মৌচাক পয়েন্টে। ফলে ফ্লাইওভারের ওপরে তৈরি হয়েছে তিন রাস্তার মোড়। মোড়ের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে সিগন্যাল বাতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত।

এলজিইডি মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে। মূলত প্রকল্প ইউটিলিটিজের কারণে ফাউন্ডেশনের ডিজাইন পরিবর্তন, পাইল সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভূমিকম্প-সহনীয় করতে পট বেয়ারিং ও শক ট্রান্সমিশন ইউনিট (এসটিইউ) সংযোজনের ফলে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ফ্লাইওভার নির্মাণের আগে যান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত রাস্তার প্রস্থতা ঠিক রেখে ৩ তলা ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে অতিরিক্ত ৪ লেনবিশিষ্ট রাস্তার সুবিধা জনসাধারণ পাবে। এ ফ্লাইওভার রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা রয়েছে প্রায় ৪০ মিটার।

২০১৬ সালের ৩০ মার্চ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করেন।

ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ফ্লাইওভারের এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় চলতি বছরের ১৭ মে।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে যখন এই ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরপর কয়েক ধাপে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।

এমসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh