• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল বিষয়ে আইনি পদক্ষেপের জন্য সংসদে প্রস্তাব পাস

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:১০

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগের দেয়া রায় ও অপ্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণ বাতিলে আইনি পদক্ষেপ নিতে সংসদে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। বুধবার রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ প্রস্তাব পাস করা হয়।

বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত সাধারণ আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

এর আগে আলোচনার প্রস্তাব আনেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল। এরপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে স্পিকার ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, জাতীয় পার্টির ফকরুল ইমাম, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, তাহজীব আলম সিদ্দিকী ।

নোটিশ উত্থাপন শেষে মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, রায়ের মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতি তার চেহারাটা উন্মোচন করেছেন। যেটা আমাদের জনগণকে অনেক দুঃখ দেবে। আপনারা সামরিক আইনকে অবৈধ বলছেন আবার সামরিক আইনের গর্ভে জন্ম নেয়া জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে রাখতে চাচ্ছেন। তিনি প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, কোন অধিকার বলে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছেন? এ রায় জাতির সামনে একটি অশনি সংকেত বলে অনেকে মনে করছেন। তাহলে কি আপনি মনে করেন অস্ত্রধারী উত্তর পাড়াই উত্তম?

বাদল আরো বলেন, এ সংসদে অনেক সদস্যই রয়েছেন, যারা সারাজীবন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। আপনি (প্রধান বিচারপতি) সংসদকে অপরিপক্ব বলেছেন। পরিপক্ব প্রধান বিচারপতি আপনার বোঝা উচিত এই সংসদ তার যে সীমারেখা তা অতিক্রম করেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোটিশের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নতি হয়নি, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হবে। তাই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। আমি এ প্রস্তাব সর্বাত্মক সমর্থন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে রায় দেওয়া হয়েছে, এটা কারো কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। বিএনপি খুশি হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছে। এমন হতে পারে এ রায়ে জিয়ার অবৈধ ক্ষমতা দখল, বানানো গণতন্ত্র বলা আছে। হয়তো ওটাতে খুশি হয়ে এতোদিন আমরা যা বলতাম সেটা মেনে নিয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে জাতির পিতা সম্পর্কে যেসব কথা বলা হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-শিবির যেভাবে কথা বলে, সেই ভাষারই পুনরাবৃত্তি করে তিনি (প্রধান বিচারপতি) সংসদ সদস্যদের নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।

প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করেন সংসদ সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন বিচারপতিদের। এখন উনি (প্রধান বিচারপতি) যদি সংসদ সদস্যদের নিয়ে এভাবে কথা বলেন তাহলে ওনার অবস্থান কোথায় থাকে? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রায়টার ভেতরে সাংঘর্ষিক বিষয় আছে। ওনার বক্তব্যে স্ববিরোধিতা আছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, আমরা যখন সংবিধানের মূল কাঠামোতে ফিরে গেলাম, তিনি সেটা মানছেন না। তিনি সামরিক অধ্যাদেশকে সংবিধানের মূল কাঠামো বলছেন, এর উদ্দেশ্য কি?

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh