• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মওদুদের বাসায় উচ্ছেদ অভিযান (লাইভ)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৭ জুন ২০১৭, ১৪:১৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুলশান-২ এর বাসায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালিউর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার দুপুর দু'টোর দিকে পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করেছে।

গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়িটির মিউটেশন (নামজারি) মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদের নামে করতে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালিউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চলছে।

বিএনপি'র প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান আরটিভি অনলাইনকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ভেতরে ঢুকেছে। অভিযান শুরু করেছেন তারা।

বাড়ি নিয়ে করা মামলায় আপিল বিভাগের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনটি ৪ জুন খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ।
গেলো ৩১ মে শুনানি শেষ রায়ের জন্য রোববার দিন ধার্য ছিল।

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুলশানের বাড়ির মালিকানা নিয়ে চলমান মামলার দুদক ও মওদুদের রিভিউ শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আসছে ৪ জুন রায়ের দিন ঠিক করেন।

গেলো বছর ২ আগস্ট ২০১৬ রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়ি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ভাই মঞ্জুর আহমেদের নামে মিউটেশন করার জন্য দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের করা আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই বাড়ি নিয়ে মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাটিও বাতিল করে দেন আদালত।

এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ১২ আগস্ট ওই বাড়িটি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন করার জন্য হাইকোর্ট রায় দেয়। রাজউক এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল দায়ের করে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ আপিল বিভাগ রাজউককে আপিলের অনুমতি দেয়।

২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাড়িটি নিয়ে দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৪ সালের ১৪ জুন এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেয় বিচারিক আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে আবেদন করেন।

২০১৫ সালের ২৩ জুন দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশেষ জজ আদালতের আদেশ বৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh