ঘরে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা, বাইরে দাবদাহ (ভিডিও)
রাজধানীসহ সারাদেশেই অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড দাবদাহ। তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। মঙ্গলবার ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ যশোরে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
ঘরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা আর বাইরে প্রচণ্ড দাবদাহ। দুই মিলিয়ে বিপর্যস্ত ঘনবসতি ঢাকার মানুষের জীবন। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ ঘর ছেড়ে ঝিল পাড় কিংবা পার্কে গাছের ছায়ায় শরীরটাকে জুড়িয়ে নিচ্ছেন। গরমের মধ্যে তীব্র যানজট, ভোগান্তির মাত্রা যেন, আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
মানুষের শরীর থেকে যে পরিমাণ ঘাম ঝরছে, তার ঘাটতি পূরণে চাহিদা বেড়েছে বোতলজাত পানি ও নানা ধরনের শরবতের।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ দাবদাহ থাকবে আরো কয়েকদিন। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।
সুস্থ থাকতে সবাইকে পানি, স্যালাইন ও তরলজাত খাবার বেশি খাবার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে ঢাকার পাশাপাশি দেশের প্রায় জেলাগুলোতে তীব্র গরমে দেখা দিয়েছে রোগ-বালাই। রোগীদের ভিড়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে গেলো এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সবোর্চ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে এ জেলায় দুর্ভোগের পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বেড়ে গেছে ডাব ও আখের রসসহ ফলের শরবতের দাম। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে এসব তরল পানিও পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে কর্মজীবী মানুষরা।
বগুড়ায় গরম ও অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অচল হয়ে পড়েছে বগুড়ার জনজীবন। রোদের উত্তাপ বেড়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাটে কমে গেছে মানুষের চলাচল। সিরাজগঞ্জে প্রখর রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, যেনো বাড়ছে গরম। আর এ গরমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
এছাড়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নাটোর, যশোর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
কে/ এসএস
মন্তব্য করুন