• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাজারে রমজানের আমেজ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:৪৭

মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ইরান, সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমিয়ে দেয়া হয়। দরিদ্র মানুষগুলো যাতে নির্বিঘ্নে সিয়াম সাধনা করতে পারেন এবং অন্তত পবিত্র রমজান মাসে যাতে এসব নিম্ন আয়ের মানুষ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই মূলত মাহে রমজানে ব্যবসায়ীরা স্বউদ্যোগে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেন। কিন্তু বাংলাদেশ তার উল্টো। ফলে নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। আর গেলো সপ্তাহ থেকে হাওর অঞ্চলের আগাম বন্যার প্রভাব তো আছে, যে কারণে চালের দাম বেড়েই চলছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন- এ সময়টায় বাজারের আড়তদাররা পণ্য কম ছাড়ে। রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় আড়তদাররা কোল্ডস্টোরেজে পণ্য মজুদ করে রাখে। তারা বাজারে নিত্যপণ্য সবসময় ঘাটতি রাখতে চান। আর এ কারণে বাজারে চাহিদা অনুসারে পণ্যের চালান কম হওয়ায় বাজারে দাম বেড়ে যায়।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মশলা ও চালের দাম। এছাড়া কাঁচা সবজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

সপ্তাহ না ঘুরতে দেশি রসুনের দাম ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০ টাকা। ভারতীয় রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকা। মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা বেড়ে দেশি ৩৫ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। ছোলার ডাল কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, মাসকলাই ১৩৫ টাকা, মসুর ডাল ১২০ টাকা। দারুচিনি ১০ টাকা বেড়ে ৩৬০ টাকা, জিরা ১০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা, লবঙ্গ ১০০ টাকা বেড়ে ১৫০০ টাকা, এলাচ ৫০ টাকা বেড়ে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের সয়াবিন বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ থেকে ১০৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হাওর অঞ্চলে আগাম বন্যায় বোরো ও আমন ধান তলিয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে ৫-৬ টাকা। মোটা স্বর্ণা চাল ৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা, পারিজা চাল ৪ টাকা বেড়েছে ৪২-৪৩ টাকা, মিনিকেটে ৫ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা বেড়েছে, মিনিকেট ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, বিআর২৮ এ ৪ টাকা বেড়ে ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা, বাসমতি ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা, কাটারিভোগে ৪ টাকা বেড়ে ৭৪ টাকা, হাস্কি নাজির চাল এ ৩ টাকা বেড়ে ৪৩ টাকা এবং পোলাও চাল ৫ টাকা বেড়ে ১০০ (পুরাতন), নতুন ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া লেয়ার মুরগি ১৬৫-১৭০, দেশি মুরগি ৫০০-৫৫০, পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৬০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি পণ্যে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি টমেটো ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, ১০ টাকা বেড়ে সাদা বেগুন ৬০-৬৫ টাকা, ১০ থেকে ২০ টাকায় বেড়ে কালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, ৫ টাকা বেড়ে শিম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, শশা ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ১০ টাকা বেড়ে গাজর ৫০ টাকা।

এছাড়া ৫ টাকা বেড়ে কচুর লতি ৬০ টাকা, ১০ টাকা কমে পটল ৫০ টাকা, ৫ টাকা বেড়ে ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৫ টাকা কমে ৬০ টাকা, কচুরমুখী ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কেজি প্রতি আলু ২০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি প্রতিটি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, রুই মাছ ২২০-২৫০ টাকা, কাতলা ৩২০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৩০-১৮০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা। এছাড়া প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০ থেকে ৭০০, প্রতি কেজি ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এমসি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh