আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে মঙ্গল শোভাযাত্রা
চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে এই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এবছরও সকাল ৯টায় চারুকলা থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
মঙ্গল শোভাযাত্রাটি রূপসী বাংলা হোটেল ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, বাংলা একাডেমি হয়ে ফের চারুকলায় এসে শেষ হয়।
পুলিশ, র্যার ও সোয়াটের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যদিয়ে শোভাযাত্রাটি এগিয়ে যায়। রয়েছেন সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও।
নানা বয়সের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাংলা সংস্কৃতির পরিচয় বাহক ১২টি প্রতীক স্থান পেয়েছে। এগুলো আলাদা আলাদা দিন নির্দেশ করে। প্রায় এক মাস কাজ করে এই প্রতীকগুলো তৈরি করেন চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং ঢাবির উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
১৯৮৯ সালে রাজধানীতে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এরপর থেকে প্রতি বছরই শোভাযাত্রা হচ্ছে। এতে মিলিত হন সব বয়সের ও সব ধর্ম বর্ণের নানা পেশার মানুষ।
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই মঙ্গল শোভাযাত্রা এবার পেয়েছে জাতিসংঘের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, তাই এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সেজেছে আরো রঙিন ও ভিন্ন আবহে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের নবতর সর্বজনীন সংস্কৃতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
জেএইচ
মন্তব্য করুন