`তিস্তার বিকল্প হিসেবে মমতার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল তিস্তা চুক্তি। সে হিসেবে শনিবার তাঁর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে তিস্তার বিকল্প যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
কলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমটিতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথবিবৃতিত দেয়া হয়। সেখানেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রধানের তিস্তার বিকল্প প্রস্তাবের কথা উল্লেখ নেই। কেন্দ্র বলছে- তিস্তা চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নে রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।’
‘এদিকে রোববার রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয় হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকাকেও তিস্তার বিকল্প প্রস্তাবের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দুই দেশের সরকার যে যৌথবিবৃতি প্রকাশ করেছে, তাতে সেই প্রস্তাবের কথা উল্লেখ নেই। বরং বলা রয়েছে উল্টো কথা।’
পত্রিকাতে আরো বলা হয়, ‘ভারত-বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতির ৪০ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে দুই সরকারের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি সই করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছিলেন।’
‘জবাবে মোদি বলেছেন, তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে ভারত সরকার সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, ফেনী, মানু, ধরলাসহ ৭টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি সইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় মমতার প্রস্তাব দেয়া তোর্সার নামই নেই।’
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী তিস্তার বিকল্প তোর্সার পানির প্রস্তাব দেয়ার পর মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ। শেখ হাসিনার সফর শেষ না হওয়ায় তারা কথা বলছেন না। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। কারণ পানির অভাবে বাংলাদেশে তিস্তা অববাহিকা শুকিয়ে জীবন-জীবিকায় বিপর্যয় নামার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। নয়াদিল্লি জানে, তিস্তা নিছক একটি নদীর নাম নয়। এটি বাংলাদেশের মানুষের আবেগের নাম। দেশটির পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে এই চুক্তি।’
এইচটি/সি
মন্তব্য করুন