• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেলেন প্রিয়ভাষিণী

অনলাইন ডেস্ক
  ১১ আগস্ট ২০১৬, ১৩:৩৮

মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেলেন প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।

বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাকে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে।

এর মাধ্যমে দেশের বীরাঙ্গনা থেকে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১২৩।

এর আগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৩৫তম সভায় এই স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত হয়।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের নির্যা‌তিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে সম্মান জানান। তার নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তা বন্ধ থাকে।

ক্ষমতায় এসে বর্তমান সরকার ফের বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আদালতের নির্দেশনাও আসে। ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলও একই সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রস্তাবটি পাস হয়।

এরপর তিনটি আলাদা গেজেটে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এতে সর্বশেষ সম্মানপ্রাপ্ত ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।

১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় নানার বাড়িতে জন্ম ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর। বাবা সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মা রওশন হাসিনার ১১ সন্তানের মধ্যে সবার বড় তিনি। খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।

১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত চাকরি করেন। কাজ করেছেন স্কুল শিক্ষক, কারখানার টেলিফোন অপারেটর হিসেবে। এছাড়া ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাসেও চাকরি করেছেন।

শেষ বয়সে মনোনিবেশ করেন নানা শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে এবং অবিরামভাবে তা অব্যাহত রেখেছেন। মূলত ঘর সাজানো এবং নিজেকে সাজানোর জন্য দামী জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস ব্যবহার করেন তিনি। ঝরা পাতা, মরা ডাল, গাছের গুড়ি দিয়ে গৃহের নানা শিল্প কর্ম তৈরি করেন তিনি।

প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্মের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী হয় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে। এ পর্যন্ত ১১টি একক এবং বহু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি।

শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ২০১০ সালে ‘স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার’ লাভ করেন প্রিয়ভাষিণী। সম্মাননা পেয়েছেন 'হিরো বাই দ্যা রিডার ডাইজেস্ট ম্যাগাজিন থেকে। চাদেরনাথ পদক, অনন্য শীর্ষ পদক, রৌপ্য জয়ন্তী পুরস্কার (ওয়াইডব্লিউসিএ), মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক মানবাধিকার পুরস্কারও পান এই বীরাঙ্গনা।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh