• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

চবিতে সাময়িক বহিষ্কার ১২, ছাত্রত্ব বাতিল ১, সনদ স্থগিত ২ জনের

চবি সংবাদদাতা

  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবিতে) নিয়ম ভঙ্গ অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে ১২ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই অপরাধে দুইজনের সনদ স্থগিত এবং একজনের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।

গেল সোমবার ‘বোর্ড অফ রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারী কমিটি’র এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আজগর চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে এক বছরের জন্য বহিষ্কার হয় পাঁচজন, ৬ মাসের জন্য হয় সাতজন, দুইজনের সনদ বাতিল ও একজনের ছাত্রত্ব বাতিল।

যারা বহিষ্কার হলেন ও বহিষ্কারের কারণ:

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিম ইমন (১৭-১৮ সেশন), নৃবিজ্ঞান বিভাগের জিয়াউল হক মজুমদার (১৬-১৭ সেশন) ক্যাম্পাস ও চট্টগ্রাম শহরে দুদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উস্কানি প্ররোচনার অপরাধে ছয় মাসের বহিষ্কার করা হয়।

ইতিহাস বিভাগের (১৬-১৭ সেশন) মো. সাব্বির হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের (১৫-১৬ সেশন) মামুনুর রশিদকে ফরেস্ট্রি ও এনভাইরনমেন্টাল সাইন্স বিভাগে রবিউল হাসান ও আরবি বিভাগে নুসরাত জাহান থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনতাই এবং মারধর করার ঘটনায় এক বছর ও ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সাব্বির হোসেন একজন সাংবাদিককে মারধর করার অপরাধে দুইমাসে বহিষ্কৃত ছিল তাই তাকে এক বছরের মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।

লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিপায়ন দেব (১৫-১৬ সেশন), একই বিভাগের সাব্বিরুল ইসলাম (১৫-১৬ সেশন), আন্তর্জাতিক বিভাগের (১৫-১৬ সেশন) শিক্ষার্থী অর্ণব বড়ুয়া, আরবি বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের জুবায়ের আহমেদকে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ফাহিম হাসান ও অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষার্থী এমদাদুল হক মিলনকে হল থেকে বের করে দেয়া ও মারধর করার ঘটনায় এ চারজনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

২০১৮ সালে সাউথার্ন ইউনিভার্সিটি ব্যবসা অনুষদের সিবু দাস গুপ্ত হয়ে চবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সৈয়দ ফাহিম জাফরী (১৫-১৬ সেশন) সাউথার্ন ইউনিভার্সিটিতে প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়ে। এই ঘটনায় ফাহিম জাফরিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জামশেদুল করিম ( ১১-১২ সেশন), ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন(১৩-১৪ সেশন), প্রথম বর্ষে (২০১৮-১৮ ডি ইউনিটে) ভর্তি পরীক্ষা অনিয়ম ও প্রক্সি দেয়ার অপরাধে শাস্তি হিসাবে মাস্টার্স পরীক্ষা সনদ স্থগিত করা হয়।

একই ঘটনায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন সিকদারক (১৪-১৫ সেশন) এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

আইন বিভাগের মাইন নেওয়াজ (১৭-১৮ সেশন) প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে গেলে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। এরপর তদন্ত করার পর অনিয়ম ও ভুয়া কাগজ পত্র প্রমাণ হলে তাকে আজীবন জন্য বহিষ্কার করা হয়।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এইচ এম হাসানুজ্জামান (১৩-১৪ সেশন) কে অ্যাম্বুলেন্সের অপব্যবহার এবং স্টাফদের হুমকি প্রদানের অপরাধে তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ফকিরকে (১২-১৩ সেশন) হলের ভেতরে দুজন শিক্ষার্থী থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপ জোরপূর্বক কেড়ে নেয়ার অপরাধে তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, অপরাধ কোনও সংগঠন কর্মী বা নেতা করেছে আমরা দেখি না, আমরা দেখি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কিনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপরাধীদের ছাড় দেবে না।

আর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
মাইকে লোক ডেকে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
চবিতে ছাত্র সংঘর্ষের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
X
Fresh