• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশের জন্য কাজ করতে চান আইটি উদ্যোক্তা রনি

আরটিভি নিউজ

  ০৫ অক্টোবর ২০২২, ০৪:১৯
রনি খান। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী রনি খান একজন আইটি উদ্যোক্তা। বিদেশে থাকলেও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান। এজন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘ইজি অ্যান্ড র‍্যাপিড’ নামক আইটি প্রতিষ্ঠান।

ছোটবেলা থেকেই রনি খান আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি পান। আইটি বিশেষজ্ঞ এবং মোটিভেশনাল স্পিকারের তালিকায় রনি খানের শুরুর দিকেই আসে। গুগলে বাংলাদেশের ম্যাপ সংযুক্তকারী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রনি।

রনি ১৯৮৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন। তার বাবার নাম মো. সোহরাব খান এবং মাতার নাম মোসা. রোকেয়া বেগম।

জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ইউটিউব মার্কেটার হিসাবে কাজ করছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ম্যাপ মেকার হিসেবে কাজ করছেন রনি। ২০০৯ সালে তিনি ইতালিতে পারি জমান। সেখানে তিনি ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ইউটিউব এবং গুগলের সাথে কাজ করছেন। রনি ২০১৪ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন। দীর্ঘ ৯ বছর ইতালিতে বসবাস শেষে ২০১৮ সালে তিনি তার স্ত্রী সাদিয়া উদ্দিন ও একমাত্র কন্যা রাবিতা খানসহ যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস শুরু করেন।

রনির সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালে অ্যাক্রিডিটিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট ব্যুরো অফ লন্ডন, যুক্তরাজ্য থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর উপড়ে বিশেষ ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। রনি ২০২০ সালে তার ‘ইজি অ্যান্ড র‍্যাপিড’ প্রতিষ্ঠানটি মাদারীপুরে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। রনি খানের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ইজি অ্যান্ড র‍্যাপিড প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান হলেও এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রকল্প রয়েছে, তার ভেতর উল্লেখযোগ্য হলো- ইজি অ্যান্ড র‍্যাপিড সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং সিটি শপি ডট কম নামে ই-কমার্স সহ বেশ কিছু প্রকল্প। ভবিৎষতে মাদারীপুর জেলায় ইন্টারনেট সেবাদানের প্রকল্প চালু করার কথা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

রনি খান বলেন, আমি যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও বছরের আট নয় মাস বাংলাদেশেই থাকা হয়। কারণ আমার প্রতিষ্ঠান ইজি অ্যান্ড র‍্যাপিড বাংলাদেশে নিবন্ধনের পরে ২৬ এপ্রিল ২০২১ সালে লন্ডন, যুক্তরাজ্যে নিবন্ধন করেছি। কিন্তু আমি ইজি অ্যান্ড র‍্যাপিড মাদারীপুরেন সদরেই রাখব, যাতে করে আমার মাধ্যমে আমার জেলার এবং আমার দেশের মানুষ স্বাবলম্বী হতে পারে। ইতিমধ্যে আমার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় শতাধিকের বেশি মানুষ আর্থসামাজিক ভাবে উপকৃত এবং স্বাবলম্বী হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh