যুবরাজ মোহাম্মদকে সাজা না দেয়ার কারণ জানালেন বাইডেন
সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে গত মাসে গোপন একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন সরকার। সেখানে বলা হয়, সৌদি আরবের ‘কার্যত’ নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এজন্য জড়িত অন্যদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও যুবরাজ মোহাম্মদকে কোনও খবরের সাজা দেয়নি মার্কিন সরকার।
আরও পড়ুন...
জামাইকে নিয়ে পালালেন শাশুড়ি
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদের বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর সৌদি আরবের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের নীতি বদলাতে পারে বলে যে আভাস পাওয়া গিয়েছিল, তা গত মাসেই ধূলিস্মাৎ হয়ে যায়। ওই সময় যুবরাজ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, এটা কূটনৈতিকভাবে নজিরবিহীন হবে।
আরও পড়ুন...
অপমান সইতে না পেরে এরদোয়ানের দেহরক্ষীর আত্মহত্যা
এবিসি নিউজে বুধবার সম্প্রচারিত হওয়া বাইডেনের একটি সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমরা এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় এনেছি, যুবরাজকে নয়, কারণ এর আগে আমরা কখনও এমনটা করি, যখন আমরা একটি দেশের সঙ্গে জোট করি তখন সেই রাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধানকে শাস্তি দিয়ে তাকে আলাদা করে ফেলি না।
সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও চুক্তি নেই। আবার নেটো জোটের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশ আছে, সেগুলোর তালিকায়ও সৌদি আরব নেই। বরং সৌদি আরবকে প্রায় ক্ষেত্রেই নিজেদের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির তেল উৎপাদন, ইরানকে মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবস্থান এবং সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার জন্য রিয়াদকে এতটা মূল্য দিয়ে থাকে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন...
গ্রামে পুরুষ নেই, তবুও গর্ভবতী হয় নারীরা!
এ
মন্তব্য করুন