• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কেঁচো সারে ভাগ্য বদল নারীদের

রাজীবুল হাসান, গাজীপুর

  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৬

প্রথমে রবিশস্য চাষে কেঁচো সারের ব্যবহার শুরু করলেও আস্তে আস্তে সব ধরনের চাষাবাধে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট।

রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে গাজীপুরের কৃষকরা কেঁচো সারের দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা। প্রশিক্ষণ নিয়ে কেঁচো সার উৎপাদন করে অর্থ উপার্জন করছেন তারা। গাজীপুর শহর থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে রাজাবাড়ির ইউনিয়নের নিভৃত গ্রাম চিনাশুকানিয়া। এই গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী উদ্যোক্তা গত এক বছর যাবত কেঁচো সার উৎপাদন করতে শুরু করেছেন। গ্রামটিকে অনেকেই এখন কেঁচো সার উৎপাদনের গ্রাম হিসেবে চিনেন।

কথা হয় ওই গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মাকসুদা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন তিনি। প্রথমে তিনি কৃষি অফিস থেকে কেঁচো আনেন। পরে স্থানীয় খাল-বিল থেকে আধাপঁচা কচুরিপানা এনে ছোট ছোট টুকরা করা হয়। এর সঙ্গে আধাপঁচা কলা গাছ টুকরা করে কেটে মিশানো হয়। পরে তার সঙ্গে আধা শুকনো গোবর মিশিয়ে বস্তায় ভরে ১২ থেকে ১৫দিন রেখে দেন। এর পর মেটারিয়ালগুলো সিমেন্টের তৈরি চাকায় দিয়ে সেখানে কেঁচো ছাড়া হয়।