গণধর্ষণের লজ্জা ঢেকে রাখতে পারলো না অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় গণধর্ষণের ছয় মাস পর মামলা করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার। মামলার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার রমজান আলীর ছেলে উজ্জ্বল রানা, একই থানার সাটিয়া এলাকার সাতারুল হোসেনের ছেলে তাজেল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ কদমতলী গ্যাসলাইন এলাকার হাজী হুমায়ুন কবিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. জালাল, আব্দুল্লাহপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আজিজ হাওলাদার ওরফে মিন্টু হাওলাদার ও তার স্ত্রী বিলকিস হাওলাদার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার অভিযুক্তদের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গেলো ২৪ এপ্রিল আসামি জালাল ও বিলকিস কিশোরীকে কথা বলবে বলে ফুসলিয়ে আব্দুল আজিজের রুমে নিয়ে যায়। তারপর উজ্জ্বল ও তাজেলকে ওই রুমে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে তারা দরজা বন্ধ করে। সেখানে গণধর্ষণের শিকার হয় ভুক্তভোগী কিশোরী। এ ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে কিশোরী সুস্থতা অনুভব করলে বিষয়টি তার পরিবারকে গোপন রাখার অনুরোধ জানায়। কিন্তু গতকাল ভুক্তভোগী কিশোরী অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর জানা যায় সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক আরটিভি নিউজকে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা মামলা করার পর পরেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদেরকে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, বিকেলে ওই কিশোরী নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন:
গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ দেখে 'ভুতপ্রেতের আছর' মনে করেছিলেন মৃত কিশোরীর শাশুড়ি
রান্না শেষে ঘরে ঢুকে ওঁত পেতে থাকা ধর্ষকের কবলে বিধবা
মানসিক ভারসাম্যহীন সেই সন্তানসম্ভবার পাশে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা
জেবি/এম
মন্তব্য করুন