৫০ বছর পর ভূমিকম্প সহনশীল হবে বাংলাদেশ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে জাপানের সহায়তায় ৩ ধাপে ৫০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প নিয়ে আমরা খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, ভূমিকম্প পরবর্তীতে উদ্ধার কাজ- এগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা-সেমিনার করেছি। ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্র গঠন করতে আমরা এত দিন কোনও পদক্ষেপ নিতে পারিনি।
জাপান ভূমিকম্প প্রবণ রাষ্ট্র হলেও সেখানে এখন ভবন ধসের সংবাদ আর পাওয়া যায় না বলেও উল্লেখ করেন এনামুর রহমান। তিনি বলেন, সেখানে প্রতিটি ভবন ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে ১০ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্পে ৭০ তলার ভবন টিকে আছে। তাদের ভবনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে ভূমিকম্পে নষ্ট হবে না।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানের সাথে কয়েক দফা আলোচনার পর বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে তারা তিন ধাপে ৫০ বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব স্থাপনা ভূমিকম্প সহনীয় করতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে জাপান। আমরা সে কাজটি শুরু করেছি। এ কাজটি শুরু করে দিতে পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভূমিকম্প সহনীয় নিরাপদ রাষ্ট্র পাবে।
আরও পড়ুন :
উজালা পেইন্টসের ১৪৭ কোটির টাকার গোপন হিসাব জব্দ: ভ্যাট গোয়েন্দার মামলা
রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন ভারতীয় হাই কমিশনার
এনামুর রহমান বলেন, প্রথম ধাপে পুরান ঢাকার মতো দেশের যেসব জায়গায় অবকাঠামো আছে, সেগুলোকে ডিমোলিশ করা হবে এবং সেখানে নতুন ডিজাইন করে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হবে। এটার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে জাপান। দ্বিতীয় ধাপে হাইরাইজ ভবনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, এগুলো ভূমিকম্প সহনীয় না হলে রেট্রোফিটিংয়ের মাধ্যমে এগুলো স্ট্রেনদেনিং করা হবে। যেটা জাপান করেছে। তৃতীয় ধাপে জাপান সরকার ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যাতে ১০ রিখটার স্কেলকে ল্যান্ডমার্ক ধরে নতুন যে ভবন হবে সেগুলো যাতে ডিজাইন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তিন ধাপের এই কাজের জন্য ফোকাল পয়েন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে জাইকার সব সদস্য দেশে চলে গেছে। তারা আসলে প্রথমে সমীক্ষা এবং পরে কাজ শুরু হবে।
কবে নাগাদ এই কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে এনামুর রহমান বলেন, সমীক্ষার পর তাদের সঙ্গে আর্থিক ও কারিগরি বিষয়ে চুক্তি হবে এবং তারপর কাজ শুরু হবে। এদিকে ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে উদ্ধারকাজের জন্য দুই হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হবে বলেও জানান তিনি।
এ/এম
মন্তব্য করুন