• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

তদন্ত ও শাস্তির ৪ মাস পর বলা হচ্ছে গ্রাহককে অতিরিক্ত কোনো বিলই দেয়া হয়নি (ভিডিও)

শরীয়ত খান, আরটিভি নিউজ

  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:২৩

করোনাকালে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের তদন্ত হলো এবং অভিযুক্ত করে বেশ কয়েকজনকে শাস্তিও দেয়া হয়। অথচ এই ঘটনার চার মাস পর বলা হচ্ছে গ্রাহককে অতিরিক্ত কোনো বিলই দেয়া হয়নি! নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে মন্ত্রণালয়ে এমনই জবাব’ই দিয়েছেন ‘ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি’ ডিপিডিসি।

ডিপিডিসি’র ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নাটক চলছেই। গেল মার্চ থেকে নিয়ে মে মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে বেশিরভাগ গ্রাহকেরই হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। একে তো করোনাকাল আয়-রোজগার বন্ধ তার ওপর কয়েক গুণ বেশি বিল! বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে অনুসন্ধানে নামে গণমাধ্যম। ডিপিডিসি’র ফাঁস হওয়া এক ই-মেইল বার্তা থেকে জানা যায়, বাড়তি বিলের বোঝা চাপানো হয়েছিল, নিজেদেরকে করিৎকর্মা প্রমাণ করে, ঈদুল ফিতরের বোনাস বাড়িয়ে নিতে।

তীব্র সমালোচনার মুখে ডিপিডিসি’র আইসিটি ও প্রকিউরমেন্ট শাখার প্রধান শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে, তদন্ত কমিটি করা হয়। তাদের দেয়া সুপারিশ অনুযায়ী চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও ১৪ মিটার রিডারকে বরখাস্ত করা হয়। সে সঙ্গে ৩৬ এনওসিএসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

শোকজে’র জবাবে এনওসিএস’রা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, অতিরিক্ত কোনো বিলই করা হয়নি তারা ই-মেইল পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পরবর্তীতে আরেকটি ই-মেইলের মাধ্যমে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়েছিল যা গণমাধ্যমে আসেনি। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কেন শাস্তি দেয়া হলো ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে?

---------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: পুলিশের ভয়ভীতি আর আইনের মারপ্যাঁচে আটকে হাঁসফাঁস সাধারণ মানুষের জীবন
---------------------------------------------------------------

ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান জানান, তিনমাসে কোথাও কোথাও তিন’শ ইউনিট বিল হয়েছে। কিন্তু বিল দেয়া হয়েছে চার’শ ইউনিটের তবে এই তিন’শ থেকে চার’শ ইউনিট পরবর্তী মাসে স্লেপ করে সেই অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়েছে।

যাদের সুপারিশে শাস্তি দেয়া হয়েছে তারাও এখন নিশ্চুপ। কমিটির সদস্য না হয়েও তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রতিষ্ঠানের একাংশের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আশরাফ আলী।

দুই মাস পর তিনিও বলেন, তদন্ত সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। তবে বিদ্যুৎ বিভাগকে দেয়া প্রতিবেদনের কথা স্বীকার করেন তিনি।

ডিপিডিসি প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আশরাফ আলী ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কমিটিতে আমি ছিলাম ওই কমিটির রিপোর্ট আমি দিয়েছি ওইটা শাস্তি দেয়ার মতো না বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের কাছে টোটাল একটা রিপোর্ট চেয়েছে সেই রিপোর্ট আমরা দিয়েছি।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, অপরাধই যদি না হয়ে থাকে, তাহলে শাস্তি কেন? আর এভাবে ‘উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে, ডিপিডিসি-ই বা পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের কতোটা গড়ে তুলতে পারবে?

এনএম/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh